তীব্র গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতে মানুষজনকে দেখা যায় পাহাড়ী এলাকায় ভ্রমণে যেতে। স্কুল, কলেজ গরমের ছুটি পড়তে না পড়তেই ভ্রমণ পিপাসু পাড়ি দেয় কোন শীতপ্রধান জায়গায়। সেখানে গিয়ে কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে আবারও ফিরে যোগ দেন যে যার কাজে। আর এই ভ্রমণের পথ যদি রেলপথ হয়, তাহলে ভ্রমণের আনন্দ অনেকগুণ বেড়ে যায়। চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে ট্রেনে করে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে পারে মানুষজন।
তাই এই সময়টায় পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে প্রায় ৪৫ টি ট্রেন অতিরিক্ত চালু করেছে আইআরসিটি। সেইসঙ্গে চালু করা হয়েছে অতিরিক্ত কোচও। যার অন্যান্য কোচ থেকে একেবারে আলাদা। এই পৃথক এবং বিশেষ ধরনের কোচের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভিস্তাডোম’ (Vistadome)। এই কোচে থাকছে ওয়াইফাই-র সুবিধার সঙ্গে থাকছে বিশেষ আরামদায়ক সিট। সেইসঙ্গে এই বিশেষ ধরনের কোচগুলো পুরোটাই কাঁচ দিয়ে তৈরি করা। যাতে করে পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মানুষজন পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
সব জায়গায় না পাওয়া গেলেও, বিশেষ বিশেষ কিছু জায়গায় পাওয়া যেতে পারে এই কাঁচের কোচের সুবিধা। যেমন রয়েছে-
জিরো ভ্যালি (Ziro Valley)- জিরো ভ্যালি- ইউনেস্কোর লিস্টে জায়গা করে নিয়েছে অরুণাচল প্রদেশের লোয়ার সুরানসিরির জেলার ছোট পাহাড়ি অঞ্চল জিরো ভ্যালি। এই অঞ্চলের সুন্দর মনরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য ভিস্তাডোম (Vistadome) কোচ সফরের ব্যবস্থা করা আছে।
ঘুম (Ghoom)- ইউনোস্কর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের লিস্টে দার্জিলিঙের এই ঘুম শহরের নাম উল্লেখ করা আছে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এই ছোট্ট শহরটি দেখতে ভিস্তাডোম কোচে করে দেড় ঘন্টা লাগে। যে সময়টা এই কাঁচের কোচে চড়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে মানুষজন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ব হতে পারবে।
পাতালপানি জলপ্রপাত (Patalpani Water Falls)- পাতালপানি জলপ্রপাত- মধ্যপ্রদেশ থেকে ভিস্তাডোম (Vistadome) কোচে পাতালপানি জলপ্রপাতটি দেখা যেতে পারে। যেখানে সঙ্গে দূরবীন থাকলে, আপনি প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।