এবার সিঙ্গাপুরের আদলে ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’ (under water park) তৈরি করা হবে বাংলাতেই- এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। জানা গিয়েছে, এই অভিনব চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হবে বাঙালির অন্যতম পছন্দের পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় (digha)।
দিঘাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এমনই উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই জমি চেয়ে দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ডিএসডিএ) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারের সংস্থা হিডকো। চলতি বছরই দুর্গাপুজোর মরসুম শুরুর প্রাক্কালে পর্যটকদের জন্য কাঁথি থেকে দিঘা পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জগন্নাথধাম তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে দিঘায়। আবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দিঘাতে একটি চিড়িয়াখান তৈরির প্রস্তাবও রয়েছে।
এবিষয়ে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘হিডকো আমাদের জায়গা দেখার কাজ করছে। এই হিডকোই দিঘাতে (digha) এই আন্ডার ওয়াটার পার্ক (under water park) তৈরি করবে। তবে সম্পূর্ণটাই পরিকল্পনা স্তরে থাকার কারণে খরচ খরচার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না’। আবার জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের নকশা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এর মধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাকে।
জানিয়ে রাখি, দেশের ১৬ তম মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের আঞ্চলিক কার্যালয় ১৯৮৯ সালে ওল্ড দিঘায় (digha) গড়ে ওঠে। কিন্তু এই মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামে পর্যটকদের সেভাবে আকর্ষণ করতে পারেনি। তবে ওল্ড দিঘায় মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের যে আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, তার আশেপাশেই ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’ (under water park) তৈরির জন্য জমি খুঁজছে সরকার-এমনটা জানা গিয়েছে। তবে একটি একটি টানেল পার্ক তৈরি করার বিষয়ে দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা বিজ্ঞানী সুব্রহ্মন্যম বালাকৃষ্ণন জানান, ‘একটি টানেল পার্ক তৈরির জন্য সরকারের কাছে আমরাও প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সরকারের সম্মতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে’।