কিছু দেশের বিজ্ঞানীরা সূর্যালোক এবং তাপমাত্রা কম করার জন্য একটি প্রকল্পে কাজ করছেন। তাদের দাবি, সূর্যের তাপ কমে গেলে পৃথিবীতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে অভিযানে ব্যাপক সাফল্য আসবে। তবে এই প্রকল্পের বিরোধিতাকারী বিজ্ঞানীরা বলছেন, অবিলম্বে এই প্রকল্প বন্ধ করা না হলে আগামী দিনে এটি পৃথিবীর জন্য একটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। বড় ব্যাপার হল বিজ্ঞানীদের এই বিতর্কের মাঝেই এই প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগ এসেছে।
সূর্যকে ম্লান করার এই প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগের পর এখন বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও তীব্র হয়েছে। সূর্যের আলো কমানোর এই গবেষণাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিং। সব বিপদ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তার পরও থামার নামই নিচ্ছে না এই প্রকল্পে কাজ করা বিজ্ঞানীরা। জানিয়ে রাখি, এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত অনেক দেশে ভারতের নামও রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রকল্পের আওতায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে সালফার স্প্রে করা হবে। আসলে, সালফারের স্তর সূর্যের রশ্মি প্রতিফলিত করবে এবং তা মহাকাশে পাঠাবে। এই কারণে সূর্যের আলো সম্পূর্ণ তাপ নিয়ে পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারবে না। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়বে না। এই প্রকল্পে কর্মরত বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, এটি বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এখন যেহেতু তারা এই প্রকল্পের জন্য একটি বড় বিনিয়োগ পেয়েছে, তারা এটির কাজ নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
ডিগ্রী ইনিশিয়েটিভ বলেছে যে, বর্ষার প্রভাবের পাশাপাশি সৌর জিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কারণে ঝড় এবং জীব বৈচিত্র্যের প্রভাব অধ্যয়নের জন্য কম্পিউটার মডেলিং প্রস্তুত করা হচ্ছে। এবং এর জন্য একটি তহবিল দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালেও, ডিগ্রী ইনিশিয়েটিভ এই গবেষণার জন্য ১০টি দেশের বিজ্ঞানীদের ৯ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে।