Skip to content

পাড়ে ২৮০ টি ডিম, রয়েছে বিশেষ উপকারীতাও! এই বিশেষ পাখি চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরাও

    এই ভূভারতে এমন অনেক বিষয় আছে, যা আমাদের জানার বাইরে থেকে যায়। এমন অনেক পশু, পাখি, গাছপালা, প্রাণী আছে, যাদের বিষয় আমাদের জানার বাইরে থেকেই যায়। এমন অনেক আশ্চর্য্যকর বিষয় রয়েছে এই পৃথিবীতে যা আমাদের চোখের এবং জ্ঞানের বাইরেই থেকে যায়।

    আজকে এমন একটি পাখির বিষয়ে আলোচনা করব, যা ২৮০ টি ডিম পাড়ে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, এটি কোন হাস কিংবা মুরগি নয়, একটি পাখি যা ২৮০ টি ডিম পাড়ে। প্রথমটায় বিজ্ঞানীরা এই পাখির প্রজাতি সম্পর্কে অবগত হতে না পারলেও, পরবর্তীতে জানা যায় এটি জাপানি কোয়েল পাখি (japanese quail bird)।

    ডিম মানুষের শরীরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের যোগান দেয়। আর সেখানে এই পাখি ২৮০ টি করে ডিম দেওয়ায়, এই পাখির ডিম থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জনও সম্ভব। আর সঠিকভাবে যদি এই পাখি প্রতিপালন করা যায় কিংবা চাষ করা যায়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে ডিম খাওয়া যেতে পারে।

    উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে অবস্থিত কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের একজন মহান বিজ্ঞানী ডঃ বিবেক প্রতাপ সিং এই পাখি চাষের বিষয়ে জানান, হাঁস কিংবা মুরগির থেকে অনেক কম জায়গায় এই পাখি চাষ করা সম্ভব। যদি সঠিকভাবে এই জাপানি কোয়েল পাখি (japanese quail bird) চাষ করা যায়, তাহলে অনেক বেশি টাকা উপার্জনও করা সম্ভব।

    চাষের ক্ষেত্রে একটি মুরগির জন্য যে জায়গা প্রয়োজন, সেই জায়গায় ১০ টি এই পাখি চাষ করা যায়। সেক্ষেত্রে ৫০ টি মরগি চাষ না করে সেই জায়গায় ৫০০ টি জাপানি কোয়েল পাখি (japanese quail bird) চাষ করা সম্ভব। কারণ এরা হাঁস কিংবা মুরগির তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়।

    আবার এই পাখির ওজনও অনেক কম হয়। এমনকি এদের খাবারও মুরগির থেকে কম কাঁটাযুক্ত হয়। এই পাখি ৪৫ দিন বয়স থেকেই ডিম পাড়তে শুরু করে। আবার যদি পরিবেশ ভালো থাকে, তাহলে অনেক দিন পর্যন্ত ডিম পাড়তে থাকে। আবার এই পাখির পালকের উপর বিচার করে ব্রিটিশ ওয়েজ, মাঞ্চুরিয়ান গোল্ডেন ইংলিশ হোইট ইত্যাদি প্রজাতিতে ভাগ করা হয়।

     

    শুধু ডিম নয়, এই পাখির মাংস মানুষের শরীরে ভিটামিন, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। তাই এই পাখির মাংস অনেক উপকারী। আবার হাঁস, মুরগির মাংস থেকে সংক্রমণ ছড়ালেও, এই পাখির মাংস থেকে কোনপ্রকার রোগের সংক্রমণ হয় না।