Skip to content

টিভি মেকানিকের মেয়ে হয়েও দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা যুদ্ধবিমানচালক! জেনে নিন সানিয়া মির্জার বিষয়ে

    img 20221227 111327

    সানিয়া মির্জা (sania mirza), তবে তিনি টেনিস সুন্দরী নয়। এনি হলেন ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা যুদ্ধবিমান চালক (first muslim woman fighter pilot of india)। নামে মিল থাকলেও, দুজনের কাজের মধ্যে রয়েছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। তবে দুজনই নিজেদের কর্মদক্ষতার জোরে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন।

    প্রথম মুসলমান মহিলা হিসাবে যুদ্ধবিমান চালকের ছাড়পত্র পেয়ে ইতিমধ্যেই যিনি ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার নামের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া মির্জা। ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাদেমি(এনডিএ)-র পরীক্ষায় সামগ্রিক ভাবে ১৪৯ তম স্থানাধিকারী মেকানিক শহিদ আলির কন্যা সানিয়ার জন্য আকাশি সবকিছু।

    img 20221227 110354

    এনডিএ-র চলতি বছরের পরীক্ষায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ৪০০ টি আসনের মধ্যে মহিলাদের মধ্যে থাকা ১৯ টি আসনের মধ্যে ফাইটার পাইলটের দুটি আসনের মধ্যে একটি নিজের দক্ষতায় অর্জন করে নেন সানিয়া মির্জা। তাঁর এই সাফল্যে তাঁর পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারাও গর্বিত।

    জানিয়ে রাখি, উত্তরপ্রদেশের পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজ মাধ্যমিক পাশ করে মির্জাপুর শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন সানিয়া মির্জা। এরপর চলতি বছর এপ্রিল মাসে সানিয়া এনডিএ পরীক্ষায় বসেন এবং ১৪৯ তম র‌্যাঙ্ক করেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৭ শে ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পুণে জেলার এনডিএ আকাদেমিতে যোগ দেবেন সানিয়া মির্জা। তাহলে তিনিই হবেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) প্রথম মুসলমান যুদ্ধবিমান চালক।

    img 20221227 110337

    মেয়ের এই সাফল্যে সানিয়ার মা তবস্‌সুম মির্জা জানান, ‘প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটর পাইলট হয়ে নিজের স্বপ্নপূরণ করেছে আমার মেয়ের। মেয়ের এই সাফল্যে আমাদের পাশাপাশি আমাদের গোটা গ্রাম গর্বিত। পাশাপাশি গ্রামের প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণে অণুপ্রেরণা দিচ্ছে’।

    নিজের এই সাফল্যে সানিয়া মির্জা জানান, ‘এখানে মহিলা পাইলটের জন্য দুটো আসন সংরক্ষিত রয়েছে। তবে আমি প্রথমবারের চেষ্টায় ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয়বার তা অর্জন করতে সক্ষম হই। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী আমার অণুপ্রেরণা, তাঁকে দেখেই আমি এই লাইনে আসার সিদ্ধান্ত নিই। আমিও হয়ত একদিন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারব বলে আশা রাখছি। তবে ইংরেজিতে ভালো কথা বলতে পারলেই যে যোগ্য প্রার্থী হওয়া যায়, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল’।