Skip to content

ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে শুরু করেছিলেন চাষের কাজ, বার্ষিক টার্নওভার ২ কোটিরও বেশি

    ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলার মেধপুর গ্রামের বাসিন্দা শচীন কালে (sachin kale) ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে শুরু করেছিলেন কৃষিকাজ। শচীন কালের দাদা সরকারী চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর, কৃষিকাজ শুরু করেছিলেন। আর দাদার পরামর্শেই কৃষিকাজ শুরু করেছিলেন শচীন কালে।

    পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার হলেও, নিজের ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেছিলেন শচীন কালে (sachin kale)। আর সেই ভাবনা নিয়েই নিজের দাদার সঙ্গে আলোচনা করতেই, দাদা তাঁকে পরামর্শ দেন খাদ্য সংক্রান্ত কিছুর ব্যবসা করার। কারণ তাঁর দাদু বলতেন, ‘মানুষ কোন কিছু ছাড়া বাঁচতে পারলেও, খাদ্য ছাড়া বাঁচতে পারে না’।

    এরপরই চাষবাস শুরু করার পরিকল্পনা করেন শচীন কালে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৪ সালে বিলাসপুরে তার গ্রামে ফিরে এসে ‘ইনোভেটিভ এগ্রিলাইফ সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে নিজের একটি সংস্থা শুরু করেন। সেখানেই ২৫ বিঘা জমির উপর শুরু করেন কৃষিকাজ।

    শুধুমাত্র নিজের জমিতেই চাষাবাদ করে থেমে থাকেননি শচীন কালে। পাশাপাশি জমি কৃষকদের থেকে ভাড়া নিয়ে সেখানেও চাষের কাজ শুরু করেন। আর এই সকল কাজের জন্য নিজের কিছু ফিক্স ডিপোজিটও ভেঙ্গে দেন শচীন। বিলাসপুর জেলা থেকে চাষের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে সেখানকার কৃষকদের কৃষিকাজ সম্পর্কে নতুন নতুন জ্ঞানও দিতেন।

    প্রথম জীবনে নিজের ২৫ বিঘা জমিতেই ধান এবং সবজি চাষ শুরু করেছিলেন শচীন কালে (sachin kale)। এই কাজে তাঁকে তাঁর স্ত্রী কল্যাণীও অনেক উৎসাহ দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে এই চাষের কাজ উন্নতি করতে থাকেন তিনি এবং সেইসঙ্গে অনেক কৃষক তাঁর সংস্থায় যোগ দিতে থাকে। যার ফলে কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের ফলে বর্তমানে শচীন কালের বার্ষিক টার্নওভার ২ কোটি টাকা।

    Discover more from Entertainment News in Bengali, Latest Tollywood and Bollywood news in Bangla

    Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

    Continue reading