সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে IIT গুয়াহাটির ইনস্টিটিউটের অধীনে জয়েন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট মাস্টার্স (JAM) ২০২৩ পরীক্ষায় ম্যাথামেটিক্যাল স্ট্যাটিসটিকসের ফলাফল। এই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৯১২ জন। এই পরীক্ষার বাকি ২৯১১ জনকে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থান অধিকার করে নিলেন নৈহাটির যুবক রূপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় (rupanjan mukherjee)।
নৈহাটি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গিরিশ ঘোষাল রোডের বাসিন্দা রূপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের বাবা মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, পেশায় একজন বাণিজ্য বিভাগের গৃহশিক্ষক। IIT JAM-এ ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫৯ পেয়ে ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রূপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর পরিবার।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র রূপাঞ্জন ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভালো ছিলেন। কিন্তু তাই বলে এই পরীক্ষায় এত ভালো ফল করবেন, সেটা কেউ আশা করতে পারেননি। তাঁর বাবা মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, নিজের হাতে অনেক ছাত্রের ভবিষ্যৎ গড়েছেন এবং নিজের ছেলেকেও সেই ভাবেই তৈরি করেছেন।
নিজের এই সাফল্যের বিষয়ে রূপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় জানান, ‘আমার বাবা, মা, শিক্ষকরা সবসময়ই আমার পাশে ছিলেন। বাবা মা কখনই আমার উপর তাঁদের প্রত্যাশার চাপ সৃষ্টি করেননি। সেই কারণেই হয়ত পড়শুনাকে অনেক সহজ করে নিতে পেরেছি। IIT জ্যামের প্রস্তুতি শুরু করার পর দিনে প্রায় তিন ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টা করে পড়াশুনার করার পাশাপাশি পরীক্ষার সময় আরও বেশি সময় ধরে পড়তাম। তবে পরীক্ষা দিয়ে ভেবেছিলাম ১০-র মধ্যে থাকতে পারি। কিন্তু প্রথম হওয়ার কথা ভাবিনি। আগামী দিনে আমার ডেটা সায়েন্টিস্ট হওয়ার ইচ্ছা আছে বা ডেটা নিয়ে কিছু করার ইচ্ছা আছে’।
ছেলের এই সাফল্যে রূপাঞ্জনের বাবা মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার ছেলে পড়াশুনায় ভালো থাকার কারণে ২০২০ সালে বাংলার মধ্যে ও সপ্তম হয়েছিল। আজকের দিনে আমার অন্যান্য কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের সাফল্যের মত করেই নিজের ছেলের জন্যও একজন বাবা এবং একজন শিক্ষক হিসাবে গর্ব হচ্ছে’।
অন্যদিকে রূপাঞ্জনের মা রূপালী মুখোপাধ্যায় জানান, ‘আমার ছেলে জীবনের পথে আরও এগোতে চায়, ওঁর সাফল্য কামনা করি। ওঁর পাশে আমরা আছি। সেইসঙ্গে অন্যান্য বাবা মায়েদের উদ্দেশ্যে বলব, আপনাদের সন্তানদের ভালো কাজে তাঁদের উৎসাহিত করুন, তাঁদের পাশে থাকুন’।