রাজস্থানের উদয়পুর, বারমের, জালোর, পালি’র আশেপাশের অঞ্চলে বিরল ও মূল্যবান খনিজ উপাদানের ভান্ডার পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে কার্বনাইট ও মাইক্রোগ্রানাইট শিলায় বাস্তানাসাইট, ব্রিটলাইট, সিঞ্চি সাইট এবং জেনোটাইম রেয়ার আর্থ উপাদানের মজুদ রয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, বিরল আর্থ উপাদান রপ্তানির ক্ষেত্রে, এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্তরে চীনের একচেটিয়া দখল রয়েছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ পৃথিবীর বিরল উপাদান চীন দ্বারা সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেই গুপ্তধনের সন্ধান মিলেছে ভারতের “রাজস্থানে”।
হয়তো এরপর দেশ ও রাষ্ট্রের চিত্র পাল্টে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, বিশ্বস্তরে চীনকে হারাতে পারে ভারত। খনিজ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিরল আর্থ উপাদান লেজার, ব্যাটারি, চুম্বক, নিউক্লিয়ার ব্যাটারি, এক্স-রে টিউব, সিরামিক, উচ্চ তাপমাত্রার ব্যাটারি, ফ্লুরোসেন্ট ল্যাম্পের পাশাপাশি ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
রাজস্থানের জালোরের সিওয়ানায় মাইক্রো গ্রানাইট শিলা পাওয়া গেছে, যেখানে পৃথিবীর বিরল ধন পাওয়া গেছে। এখানে প্রায় ৫ মিলিয়ন টন বিরল সম্পদ মজুদ রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। পালি’র কাছে ধানিতে গ্রানাইট এবং উদয়পুরের কাছে নিভানিয়া গ্রামে কার্বোনাটাইট পাথরে বিরল আমানত পাওয়া গেছে। অধিদপ্তরকে অনুসন্ধান এবং নমুনা বিশ্লেষণের কাজ দ্রুত করতে বলা হয়েছে।
এটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে ভারত সরকারের পরমাণু শক্তি বিভাগ সিভানা রিং কমপ্লেক্সে অনুসন্ধানের জন্য ৭ টি ব্লক সংরক্ষিত করেছে। খনি পরিচালক সন্দেশ নায়ক বলেন, ‘অধিদপ্তর অনুসন্ধান, খনির ব্লক প্রণয়ন, নিলাম ও খনির কার্যক্রমের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এমনকি রাজস্ব আদায় এবং সাধারণ প্রকল্পের পরিকল্পিত বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি নতুন রেকর্ডও প্রতিষ্ঠিত হবে’।