উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কৌশাম্বি জেলায় এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রখর। যিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে, দামী চাকরী ছেড়ে শুরু করেছিলেন মাছ চাষ। প্রথম ধাপের ক্ষতিকে পাশ কাটিয়ে, আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ৪০ হাজার টাকার চাকরি ছেড়ে, এখন বছরে আয় করেন প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভালো ছিলেন প্রখর। সেই কারণে তাঁর বাবা চেয়েছিলেন ছেলে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হোক। সেই কারণে গ্রামের স্কুল থেকেই নিজের দ্বাদশ শ্রেণীর পড়া শেষ করে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজ জেলায় পাড়ি দিয়েছিলেন বাবার ইচ্ছেমত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে।
তাঁর বাবা যেহেতু কৃষক ছিলেন, সেই কারণে তিনি ছেলেকে কৃষক নয়, একজন ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চেয়েছিলেন। তবে ইঞ্জিনিয়ার নয়, প্রখরের ইচ্ছে ছিল কৃষি কাজ নিয়ে কিছু করার। এই ভাবে পড়াশুনা শেষ করে এফএলসিএল, কলকাতা মেট্রো, ইরা ইনফ্রাস্ট্রাকচার, সুপারটেক ইত্যাদি বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন প্রখর।
কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের কারণে, খুব কাছ থেকে মানুষের জীবনযাত্রা দেখেন প্রখর। এইভাবে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কাজ করার সময় মাছ চাষের (fish farming) বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হয় প্রখরের। সেখান থেকে মাছ চাষের বিষয়ে জেনে, সেই কাজের প্রতি একটা আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর।
এবার শুরু হয় তাঁর দ্বিতীয় যুদ্ধ। মনস্থির করে ফেলেন, চাকরী ছেড়ে দিয়ে মাছ চাষ করবেন তিনি। কিন্তু পরিবারের লোকজন কিছুতেই তাঁর এই মতের সঙ্গে সহমত হতে পারছিল না। তারপর অনেক কষ্টে তাঁদেরকে রাজি করিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন প্রখর।
কিন্তু মাছ চাষ শুরু করলেও, প্রথম বছরটা ক্ষতির সম্মুখীন হন প্রখর। সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকায়, প্রথম বছর অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। কিন্তু পিছিয়ে আসেননি তিনি। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) একজন মাছ চাষী বিশেষজ্ঞর থেকে পরামর্শ নিয়ে তাঁর থেকে নিজের ভুল ত্রুটি গুলো দেখে নিয়ে আবারও শুরু করেন মাছ চাষ (fish farming)।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি প্রখরকে। যে ৪০ হাজার টাকার চাকরি ছাড়ার জন্য বাড়ির লোককে অনেক বোঝাতে হয়েছিল, সেই প্রখর এখন মাছ চাষ (fish farming) করে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মুনাফা অর্জন করেন। মাছ চাষের পাশাপাশি আবার কৃষিকাজে কৃষকদেরও সাহায্য করেন তিনি।