আপনি যদি নতুন বছর উপলক্ষে বাড়ির বা বাস্তুর সাজসজ্জার কিছু নতুনত্ব আনতে চান, তাহলে আপনার সাজসজ্জার তালিকায় অবশ্যই ‘ময়ূরের পালক’ যোগ করুন। হিন্দু শাস্ত্র বিশ্বাসে ময়ূরের পালক অত্যন্ত শুভ ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি ময়ূরের পালক সুখ ও সমৃদ্ধির লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পাশাপাশি ময়ূরের পালক কার্তিক এবং গণেশের খুবই প্রিয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখাও শুভ বলে মনে করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তু অনুসারে বাড়ির কোন দিক ও কোন স্থানে ময়ূরের পালক রাখলে বাস্তুর শুভ ও উন্নতি হয়।
ধর্মীয় মতে এটি বিশ্বাস করা হয় যে, প্রায় সমস্ত দেব-দেবী ময়ূরের পালকের মধ্যে থাকেন, তাই এটি বাড়িতে রাখা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। ঘরে ময়ূরের পালক রাখলে সমস্ত ঝামেলা দূর হয়। এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি এবং সুখ ও শান্তি বিরাজ করে।
যদি কেউ অস্থির মনোভাব ও খুব চঞ্চল হয় বা টাকা পকেটে থাকে না, তাহলে পূজার ঘর ও ভল্টে ময়ূরের পালক রাখা উচিত। এতে করে ধন-সম্পদের দেবতা কুবেরের অধিবাস সর্বদা থাকে এবং বাড়িতে আর্থিক সমস্যা হয় না। ময়ূরের পালক রাখলে ঘরে আশীর্বাদ প্রাপ্তি হয়।
বাস্তু মতে, ময়ূরের পালক মধুর সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। কথিত আছে যে, কোনো দম্পতি যদি তাদের শোবার ঘরে ময়ূরের পালক রাখেন তাহলে তাদের সম্পর্কের মধ্যে মাধুর্য বজায় থাকে। পাশাপাশি বসার ঘরের পূর্ব দেয়ালে ৭টি ময়ূরের পালকের গুচ্ছ রাখলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাধুর্য ও পরিচিতি বজায় থাকে। এছাড়াও, আপনি আপনার সন্তানের স্টাডি রুমেও ময়ূরের পালক রাখতে পারেন। ফলে শিশুদের মন পড়াশোনায় একাগ্র থাকে।
কথিত আছে যে, যদি কারো কুন্ডলীতে ‘কালসর্প’ দোষ থাকে তাহলে ময়ূরের পালক দিয়ে প্রতিকার করা যায়। কালসর্প দোষ দূর করার জন্য ব্যক্তিকে তার বালিশের নিচে সাতটি ময়ূরের পালক রাখতে হবে।