Skip to content

একসময় ঝাড়ুর কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, এখন IPL এর সবচেয়ে অবাক করা জয়ের নায়ক!

    img 20230413 000050

    ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) ১৩তম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) ব্যাটসম্যান “রিংকু সিং” এর তুফানি ব্যাটিং প্রশংসিত হয়েছে। সেই ম্যাচে, ২৫০+ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৬৩ রান করেছিলেন রিংকু। এই সময়ে, তিনি যশ দয়ালের ২০তম ওভারে টানা ৫টি ছক্কাও মেরেছিলেন। এটি সর্বত্র ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করেছে।

    রিংকুর ক্রিকেট যাত্রা বলতে গেলে অস্বাভাবিক ছিল। এর আগে, খুব কম লোকই তার সম্পর্কে জানত, এবং তাকে জীবনে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। কিন্তু এখন তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার কারণে, তিনি একটি অনন্য এবং বিশেষ ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন।

    যখনই আইপিএল ২০২৩-এর ১৩তম ম্যাচে কেকেআর-এর রোমাঞ্চকর জয়ের কথা বলা হয়, তখনই এই ম্যাচে জয়ের নায়ক রিংকু সিংকে কখনই ভোলা যায় না। কারণ তিনি দেখিয়েছেন ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই সম্ভব। আজ এই তরুণ আবারও প্রমাণ করলেন যে তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড়।

    রিংকু সিং ম্যাচে অপরাজিত থাকেন এবং মাত্র ২৪ বলে ৬৩ রান করেন। তার পারফরম্যান্স চিত্তাকর্ষক ছিল, এবং এর প্রতিধ্বনি বহু বছর ধরে স্মরণ করা হবে। ক্রিকেটার হতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এটি রিংকু সিংয়ের অনুপ্রেরণামূলক গল্প থেকে জানা যায়। সিং একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এবং নিজেকে ও তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল।

    তিনি তার নিজ শহরের রাস্তায় ক্রিকেট খেলা শুরু করেন এবং অবশেষে একজন পেশাদার খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। তার গল্প দেখায় কিভাবে যে কোনো তরুণ ক্রীড়াবিদ সফলতা অর্জন করতে পারে, যদি সে তার আবেগে নিজেকে উৎসর্গ করে। রিঙ্কু সিং আলিগড়ের বাসিন্দা, এবং তিনি একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ।

    তার পাঁচ বোন-ভাই রয়েছে। তারা সবাই তাকে বিভিন্নভাবে সমর্থন করে। তার ভাই একজন অটোরিকশা চালক, এবং তার অন্য ভাই একজন প্রশিক্ষক। রিংকু বরাবরই খুব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এখন সে একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ। তিনি অনেক যুবকদের জন্য আদর্শ, এবং তার গল্প তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে ও তাদের লক্ষ্য অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

    রিংকু পড়াশোনায় বিশেষ আগ্রহী ছিল না তাই নবম শ্রেণীতে ফেল করে। তার সবসময়ই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ছিল এবং তাই তাকে তার পড়াশোনায় মনোযোগী রাখার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বেশ কিছু মারধরের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু, তিনি হাল ছেড়ে দেননি এবং শেষ পর্যন্ত সফল খেলোয়াড় হওয়ার আশা নিয়ে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান।