বর্তমান প্রজন্মের হার্টবিট ও বলিউডের গাঙ্গুবাই অর্থাৎ “আলিয়া ভাট” (Alia Bhatt), নভেম্বরে মেয়ের জন্ম দিয়ে ফেব্রুয়ারিতেই কাজে ফিরেছেন এই বলি অভিনেত্রী। কিন্তু এই ৩০ বছর বয়সী অভিনেত্রীকে দেখে চমকে উঠলেন সকলেই। কারণ, মেয়ের জন্ম দেওয়ার মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই আগের চেহারায় ফিরে গিয়েছে আলিয়া।
যা দেখে রীতিমত তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন ডাবিং স্টুডিওতে উপস্থিত মানুষজন। সাধারণত মা হওয়ার পর হরমোন জনিত নানা কারণে মেয়েদের শরীরে নানারকম পরিবর্তন দেখা দেয়। যার ফলে তাদের শরীর কিছুটা মোটা হয়ে যায়। আলিয়াও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
কিন্তু এই ক’মাসের মধ্যেই এত তাড়াতাড়ি কিভাবে আগের চেহারায় ফিরে গেলেন রণবীর ঘরণী, তা দেখে কিছুটা অবাক হয়ে গেলেন সকলেই। ভক্তদের কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে, কিভাবে মেদ ঝরিয়ে এত দ্রুত নিজের আগের চেহারায় ফিরে গেলেন আলিয়া, অবশেষে নিজের শেয়ার করলেন সেই সিক্রেট ডায়েট প্ল্যান।
এই বিষয়ে অনেকেই জানতে আগ্রহী ঠিক কেমন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন তারকা। সেই কথাই জানালেন আলিয়া ভাট। আলিয়া জানান, মেয়ের জন্মের পর থেকে সাধারণ দেশী খাবার ভাত, ঘি, দুধ, দই এবং পনির খেয়েই সুন্দর চেহারার অধিকারী হয়েছেন তিনি।
আবার দুপুরে গরম ভাত, ডালের সঙ্গে গাওয়া ঘি খেতে পছন্দ করেন তিনি। এমনকি গরম ভাতে আলু সেদ্ধ, ঘি এবং নুন দিয়েই খাওয়া হয়ে যায় আলিয়ার। অনেকেই শরীরের ওজন বেড়ে যাবে বলে ঘি এড়িয়ে চলেন। ঘি অনেকে এড়িয়ে চললেও, আলিয়া কিন্তু ঘি’কেই তাঁর খাদ্যতালিকার প্রথমে রেখেছেন।
হজম শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের কাজে লাগে ঘি। সেই কারণে শুধুমাত্র আলিয়াই নন, শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরও ত্বকের জৌলুস বজায় রাখতে প্রতিদিন একচামচ গাওয়া ঘি খেয়ে থাকেন।