১৯৭৭ সালে এক শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নবীন তিওয়ারি। আর পাঁচজন বাবার মতই তাঁর বাবার ইচ্ছে ছিল, ছেলে পড়শুনা করে সরকারী চাকরী করবে। ২০০৩ সালে আইআইটি কানপুর থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন নবীন।
স্নাতক হওয়ার পর প্রায় ৩ বছর ধরে ম্যাকিনসে অ্যান্ড কোম্পানিতে কাজ করেন নবীন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ পাশ করেন তিনি। এই সময়কালে তিনি ‘ইন্ডিয়া স্কুল হাউস’ নামে একটি সংস্থার স্থানপন করে, যা গ্রামীণ স্কুলগুলোর জন্য ফান্ড একত্রিত করত। জানিয়ে রাখি, আজও সেই ফান্ডের চেয়ারম্যান আছেন নবীন তিওয়ারি।
এরপর ২০০৭ সালে এসএমএস-ভিত্তিক অনুসন্ধান পরিষেবার দিকে মনোনিবেশ করে এমখোজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নবীন। মুম্বাইতে একটি এক কামরার ছোট ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সেখানে ১০ জন কর্মচারী নিয়ে কাজ করতেন নবীন। তারপর অ্যাঞ্জেল ফান্ডিং-র পক্ষ থেকে নবীনকে প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে এই কোম্পানির নাম Inmobi দিয়ে, মোবাইল-ডিভাইস বিজ্ঞাপন সংস্থায় পরিবর্তন করেন নবীন।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নবীনকে। এই Inmobi বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল-ডিভাইস বিজ্ঞাপন সংস্থায় পরিণত হয়েছে। অল্প বয়সেই কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজকের দিনে Inmobi (ইনমোবি)র প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও হয়েছেন নবীন।
বর্তমান সময়ে বেঙ্গালুরুর টেকনোলজি পার্কে ৩ তলা অফিস রয়েছে নবীনের। যেখান থেকে আমেরিকা, চীন, ভারত, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের ১৬৫ টিরও বেশি দেশে ১,২০০ মিলিয়নেরও বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ব্যবসা-সম্পর্কিত পরিষেবা সরবরাহ করে চলেছে নবীনের Inmobi।