পৃথিবীর রহস্যময়, বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে এমন অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে যা আজও মানুষের অজানা। এই অজানা তথ্য খুঁজে বার করতে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত তাদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের গবেষণার পর নতুন নতুন অনেক তথ্য সামনে আসছে, যা বেশ অবাক করার মত। সম্প্রতি এক আশ্চর্য জনক শব্দের আবিষ্কার করলেন নাসা’র (Nasa) বিজ্ঞানীরা। এই রহস্যময় শব্দ শুনলে পুরো শরীর শিউরে উঠবে।
কিসের এই শব্দ বা কোথা থেকে আসছে? সব প্রশ্নের উত্তর জানবো আজকের এই প্রতিবেদনে। নাসা “ব্ল্যাক হোলে”র (Black Hole) শব্দ প্রকাশ করেছে, যা খুবই অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্কর। এটি একটি ভূত চলচ্চিত্রের সাউন্ডট্র্যাকের মত। নাসার বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে ২০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূর থেকে এই ব্ল্যাকহোলের শব্দ রেকর্ড করেছেন। নাসা জানিয়েছে যে, এই ব্ল্যাক হোলটি পার্সিয়াস গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে রয়েছে। এই গ্যালাক্সি নিজেই ১১ মিলিয়ন আলোকবর্ষ প্রশস্ত।
এতে অনেক গরম গ্যাস রয়েছে। এটি নিজেই গ্যাসের বিশাল মেঘ। নাসা টুইট করেছে, “মহাকাশে কোন শব্দ নেই এমন ধারণা ভুল “। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা (Astronauts) জানিয়েছেন, কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল মহাকাশে অবস্থিত এমনি এক অন্ধকার জায়গা, যেখানে আকর্ষণ ক্ষমতা খুব বেশি। এই কারণে এর মধ্যে দিয়ে আলো পর্যন্ত যেতে পারে না। আলো শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই রহস্যময় ব্ল্যাক হোল।
এবার সেই ব্ল্যাক হোলের ভয়ঙ্কর শব্দের (Terrifying Sound Of a Black Hole) সন্ধান পেলো নাসার বিজ্ঞানীরা (Nasa Scientist)। সম্প্রতি এই বিশেষ শব্দ নাসা কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে, যা শুনতে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। অনেকে নাসার ভিডিওটি রিটুইট করে লিখেছেন যে, মহাকাশে ওম ধ্বনি অনুরণিত হয়। ওম হল চিরন্তন ধ্বনি, যা মহাবিশ্বের সর্বত্র বিরাজমান।
The misconception that there is no sound in space originates because most space is a ~vacuum, providing no way for sound waves to travel. A galaxy cluster has so much gas that we've picked up actual sound. Here it's amplified, and mixed with other data, to hear a black hole! pic.twitter.com/RobcZs7F9e
— NASA Exoplanets (@NASAExoplanets) August 21, 2022
২০০৩ সালে, ব্ল্যাক হোল প্রথম শব্দের সাথে যুক্ত হয়েছিল এবং কেস স্টাডি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তারপর বিজ্ঞানীরা দেখতে পেলেন যে ব্ল্যাক হোল দ্বারা সৃষ্ট চাপ ক্লাস্টারের গরম গ্যাসে তরঙ্গ সৃষ্টি করে। যাইহোক, এই শব্দ এত কম ছিল যে মানুষ এটি শুনতে পায়নি। বিজ্ঞানীরা জ্যোতির্বিজ্ঞানের ডেটা সোনিফাই করে এটি পরিবর্তন করেছেন।