সন্তানদের হাতে সবকিছু তুলে দিয়ে নতুন কিছু করার কথা ভাবছেন দেশের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান “মুকেশ আম্বানি” (Mukesh Ambani)। তিনি ইতিমধ্যে তার তিন সন্তানের মধ্যে ব্যবসা ভাগ করে নিয়েছেন। বড় ছেলে আকাশ আম্বানি’কে টেলিকম ব্যবসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং খুচরা ব্যবসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেয়ে ইশা আম্বানি’র হাতে। ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানিকে তেল পরিশোধন ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী মুকেশ আম্বানি এখন সবুজ শক্তির দিকে মনোযোগ দেবেন। আম্বানি গত বছর ঘোষণা করেছিলেন যে তার কোম্পানি গ্রিন এনার্জি ব্যবসায় আগামী ১৫ বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। রিলায়েন্স ২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নেট-জিরো কোম্পানি হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মুকেশ আম্বানি সবুজ শক্তি সম্পর্কিত কোম্পানির কৌশল খতিয়ে দেখবেন। এর মধ্যে রয়েছে গিগা কারখানা নির্মাণ এবং নীল হাইড্রোজেন সুবিধা। সংস্থাটি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রসারিত হবে।
সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আম্বানি যে কোন প্রকল্পে আন্তরিকভাবে কাজ করতে পরিচিত। ১৯৯০ সালে, তিনি পেট্রোলিয়াম ব্যবসার জন্য দিনরাত কাজ করেছিলেন। এরপর গত দুই দশকে তার টেলিকম ব্যবসায় জোর কদমে চলছে। এখন তার ফোকাস সবুজ শক্তিতে যেখানে তিনি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির মুখোমুখি হবেন। আদানি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবসার জন্য ৭০ বিলিয়ন বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
আদানি বর্তমানে ভারত ও এশিয়ার সবচেয়ে বড় ধনী ব্যক্তি এবং মুকেশ আম্বানি দুই নম্বরে। সূত্রের খবর, টেলিকম সেক্টরে যে কীর্তি করেছিলেন মুকেশ আম্বানি গ্রিন এনার্জি সেক্টরেও একই কীর্তি করতে চান। তার কোম্পানি রিলায়েন্স জিও ২০১৬ সালে টেলিকম সেক্টরে প্রবেশ করে এবং আজ এটি দেশের বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর। কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে আম্বানি বলেছিলেন যে, ‘সবুজ শক্তিতে কোম্পানির বিনিয়োগ ধীরে ধীরে শুরু হবে এবং আগামী কয়েক বছরে অনেক বাড়বে’।