গুজরাটের একটি ছোট্ট গ্রামে ভরত এবং প্রতিক্ষা শাহের ঘর আলো করে ১৯৯৩ সালের ১৯ শে আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন মনন শাহ (Mann Shah)। ছোট থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি কম্পিউটারের প্রতি একটা টান ছিল মননের। সেই কারণে তাঁর বাবা ছেলের জন্য একটা কম্পিউটার কিনে দেন।
ছোট বয়সেই ঘরে নতুন কম্পিউটার আসায় সেটা নিয়েই মেতে ছিলেন মনন। এই সময় নবম শ্রেণীতে ফলাফল ভালো করলেও, দশম শ্রেণীতে ফেল করে যায় মনন শাহ (Mann Shah)। এই পরিস্থিতিতে স্কুল ছেড়ে দিয়ে কম্পিউটারের প্রতি বেশি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মনন। এই ভাবে ২০০৯ সাল থেকে সম্পূর্ণ মন থেকে কম্পিউটার নিয়েই ব্যস্ত থাকতে শুরু করেন মনন। সেই কারণে এমএস ইউনিভার্সিটিতে হ্যাকিং ওয়ার্কশপে যোগ দেন তিনি। পাশাপাশি আবার এথিক্যাল হ্যাকিংয়ে ক্যারিয়ার তৈরি করার কথা ভাবতে থাকেন তিনি।
এইভাবে শিখতে শিখতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট মাইক্রোসফট, ফেসবুক, গুগল ব্ল্যাকবেরি, অ্যাপলের সিস্টেমের ত্রুটিগুলো দূর করার কাজ করতে থাকেন মনন শাহ। তাঁর এই কাজ দেখে সাইবার অপরাধীদের ধরার জন্য রাজ্য পুলিশও তাঁর সহায়তা নেয়। এইভাবে বেশ রোজগার করতে শুরু করেন মনন।
জীবনে এগিয়ে গিয়ে নিজের একটি এথিক্যাল হ্যাকিং কোম্পানি খুলে সেটার নাম দিয়েছেন অ্যাভাল্যান্স গ্লোবাল সলিউশন। মননের কোম্পানিটিই প্রথম এবং একমাত্র যেটি চলচ্চিত্রের পাইরেসি প্রতিরোধের কাজও পেয়েছে। এছাড়াও র্যানসমওয়্যারের মতো সফ্টওয়্যার খুঁজে দিয়ে ভারতের অনেক কোম্পানিকেও সাহায্য করেছেন মনন শাহ।
একটা সময় দশম শ্রেণী ফেল করার পর যে ছেলেটাকে নিয়ে আশেপাশে লোকজন হাসাহাসি, ঠাট্টা তামাশা করত, নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে আজকের দিনে সেই ছেলেটাই ৪০০ কোটির কোম্পানি দাঁড় করিয়েছে। নিজের দক্ষতায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট ফেসবুক, ব্ল্যাকবেরি, মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যাপলের সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করে বাঁচিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানিকে। সেইসঙ্গে পুলিশকেও সাহায্য করেছেন মনন শাহ (Mann Shah)।