Skip to content

সৌদি আরবে নাগরিকত্বের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন! কি প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতীয়দের ওপর?

    img 20230113 205741

    সৌদি আরব সরকার দেশের নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন করেছে। তবে এই পরিবর্তন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন সৌদি বংশোদ্ভূত সব নারীর সন্তান যারা প্রবাসীদের বিয়ে করেছেন তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিশুদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে। নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে যোগ্য হওয়ার জন্য অবশ্যই সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করা প্রয়োজন।

    img 20230113 205331

    এই খবরটি ভারতীয় প্রবাসীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ধরনের বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সৌদি আরবে থাকেন, যারা সৌদি নারীদের বিয়েও করেছেন। সৌদি গেজেট পত্রিকার খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ‘মোহাম্মদ বিন সালমান’ সৌদি আরবের জাতীয়তা ব্যবস্থার ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছেন।

    সৌদির এই নিবন্ধে পরিবর্তনের পর, “যে ব্যক্তি সৌদি আরবে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তার বাবা একজন বিদেশী নাগরিক কিন্তু মা সৌদি বংশোদ্ভূত, তাহলে সেই ব্যক্তি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। তবে নাগরিকত্ব পাওয়ার আগে, কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে”। এক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তি সৌদি আরবের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক, তাকে অবশ্যই আরবি ভাষায় পারদর্শী হতে হবে।

    রিপোর্ট বলছে, প্রায় ২৫ লক্ষ ভারতীয় প্রবাসী সৌদি আরবে বসবাস করেন। এই লোকদের বেশিরভাগই সেই লোকদের মধ্যে, যারা সেখানে মজুরি বা ছোট কোম্পানিতে কাজ করছেন। সৌদি আরবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন এমন বিপুল সংখ্যক লোকও রয়েছে। ভারত থেকে আসা অভিবাসীরাও সৌদি বংশোদ্ভূত নারীদের বিয়ে করেছে। যদিও সৌদি বংশোদ্ভূত একজন নারীকে বিয়ের পর তাদের সন্তানদের নাগরিকত্ব পাওয়া কঠিন ছিল।

    img 20230113 205613

    এখন সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর, এমন বিপুল সংখ্যক মানুষ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন, যাদের বাবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত, কিন্তু তাদের মা সৌদি বংশোদ্ভূত। হজ সংক্রান্ত বিষয়ে সৌদি আরবের সিদ্ধান্তে ভারতীয়রা বিশেষ সুবিধা পাবেন। সৌদি আরব সরকার সম্প্রতি হজ যাত্রার বিষয়ে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে লাখ লাখ ভারতীয় মুসলমান উপকৃত হয়েছে।

    ২০২৩ সালের জন্য ভারত থেকে হজ তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা সৌদি আরব আরও বাড়িয়েছে। সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তের পর এই বছর হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জন। বিশেষ বিষয় হল, আজ পর্যন্ত ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এত বিপুল সংখ্যক মানুষ হজ করতে আসতে পারবেন।ভারতীয়দের জন্য এত বড় হজ কোটা আগে কখনো সংরক্ষিত হয়নি।