ভূত (ghost)। যা বাস্তবে দেখা না গেলেও, এই নিয়ে রহস্যের কোন শেষ নেই। অনেকেই আছেন, যারা ভূত বলে কিছু আছে, এমন কথায় বিশ্বাস করেন না। আবার অনেকে এমনও আছেন, ভুতের গল্প শুনলেই ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেন। তবে ভূতের মুখোমুখি হওয়ার সাহস কিংবা ভাগ্য খুব কম মানুষেরই হয়েছে বলে জানা যায়।
সেরকমই একজন মানুষ হলেন কবর খননকারী মার্ক কক্স। মার্ক কক্স জানান তিনি বার্মিংহামের সবচেয়ে বড় কবরস্থানের কাছে একটি বাড়িতে থাকেন। আর সেখানে তাঁর সঙ্গেই থাকে একটি অল্প বয়সী মেয়ের আত্মাও। কিন্তু ভূতের চলচ্চিত্রে আমরা দেখেছি, ভূত (ghost) সর্বদা মানুষের ক্ষতিসাধন করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে এরকম কোন কিছুই দেখা যায়নি। ক্ষতি করা তো দূরস্ত, ওই বাড়িতে থাকতে মার্কের কোন সমস্যাই হয় না।
রিপোর্ট বলছে, প্রাক্তন সৈনিক মার্ক কক্স গত ২৩ বছর ধরে কবরস্থানের কাছে তাঁর বাড়িতে বসবাস করছেন। তাঁরা এই বাড়িটি ছাড়ার কথা বেশ কয়েকবার ভাবলেও, সেখানে বসবাসকারী মেয়েটির আত্মার কি হবে, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। এই মেয়েটিকে বাড়ির জানলায় অনেকেই দেখেছিলেন এবং মার্ককে জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর সঙ্গে আর কে থাকে ওই বাড়িতে?
এবিষয়ে মার্ক জানান, বাড়িতে থাকা ওই মেয়েটির আত্মাকে নিয়ে তাঁর কোনরকম কোন সমস্যা হয়নি। এখনও অবধি ওই ভূত (ghost) তাঁর কোনরূপ ক্ষতিসাধন করেনি। উলটে তাঁর মনে হয় ওই আত্মা তাঁকে অত্যন্ত যত্নে রেখেছেন। তাই তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার বদলে সেখানেই বেশ শান্তিতে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন।