বর্তমান সময়ে মানুষ আজ নিজস্ব ব্যবসার (Business) দিকে অনেক ঝগ বাড়িয়েছে। বিভিন্ন ফার্ম ও স্টার্টআপ করে উপার্জন করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে, সম্প্রতি মাশরুম ব্যবসা নিয়েও ব্যাপক জল গোলা হচ্ছে চারিদিকে। মাশরুমের সবচেয়ে ভালো বিষয় হল কৃষকরা সারা বছরই এর জাতের চাষ করতে পারেন। যার কারণে সারা বছরই রোজগার চলতে থাকে। গত কয়েক বছরে মাশরুম চাষের দিকে কৃষকদের ঝোঁক অনেক বেড়েছে। এবং মাশরুম চাষ কৃষকদের আয়ের একটি বড় উৎস হয়ে উঠছে।
এই চাষের জন্য কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তবে বাজারে মাশরুমের ভালো দাম পাওয়া যাবে। একটি শেড থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা মাশরুম চাষ থেকে ভাল মুনাফা অর্জন করছে, তাও কম জায়গা, কম সময়, এবং কম খরচে। এই চাষের বিশেষ বিষয় হল, মাশরুম চাষের খরচের তুলনায় লাভের হার অনেক গুণ বেশি।
মাশরুম চাষের জন্য কৃষকরা যে কোনো কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র বা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এর থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে হরিয়ানার কর্নালের কাচওয়া গ্রামের কৃষক ‘কৃষ্ণ গোপাল’ প্রথমে মাশরুম সম্পর্কে জানতে পারেন, এবং মুর্থালে অবস্থিত মাশরুম কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর দুটি মাশরুম শেড দিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। আজ তার প্রায় ৫০টি ঝুপড়ির মতো চালা রয়েছে, যেখান থেকে তার ভালো আয় হচ্ছে।
একটি শেডের কথা বললে, কৃষ্ণা এখান থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মাশরুম আহরণ করছেন। কৃষক কৃষ্ণ গোপাল জানান, ‘তিনি ডিপ্লোমা, বি.টেক এবং অন্যান্য কোর্স করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি সরকারি চাকরির জন্য আবেদনও করেছিলেন যেখানে তার নম্বরও এসেছে, কিন্তু কোনো কারণে তিনি যোগ দেননি। তিনি ব্যবসায়িক লাইনে যেতে পছন্দ করেন। এই কারণে এখন তিনি অনেক প্রগতিশীল হয়ে উঠেছেন, এবং অনেক যুবকও তার সঙ্গে কাজ করছেন।