বর্তমান দিনে নিজের ব্যবসা শুরু করার দিকে মানুষের ঝোঁক বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে অনেকেই ভালো দামী চাকরী ছেড়ে যোগ দিচ্ছে চাষের কাজে, কিংবা শুরু করছেন নতুন কোন ব্যবসা। আর তা থেকে বেশ লাভবান হতেই দেখা যাচ্ছে তাঁদের।
সেই কারণেই বিভিন্ন ধরনের চাষ থেকে শুরু করে স্টার্টআপেও মনযোগী তাঁরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যবসা শুরুর জন্য কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকেও মোটা অংকের ঋণ দেওয়া হয়। যার ফলে ব্যক্তি সেই ব্যবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন।
সেরকমই একজন হলেন কাকাসসাহেব সাওয়ান্ত। ৪৩ বছর বয়স্ক এই ব্যক্তি চাকরী ছেড়ে শুরু করেছেন নিজের নার্সারি। সেখানে আম (mango), ডালিম, পেয়ারা বাগান করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন কাকাসসাহেব সাওয়ান্ত।
মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে কাকাসাহেব সাওয়ান্ত এবং তার দুই ভাই প্রায় ২০ একর জমি কিনে, তাতেই শুরু করেন চাষের কাজ। ওই এলাকায় প্রধানত আঙ্গুর বা ডালিম চাষ হত সেই সময়। কিন্তু কাকাসাহেব শুরু করলেন আমের বাগান।
চাকরী ছেড়ে এই কাজ শুরু করার প্রথমে তাঁকে দেখে হাসাহাসি করত লোকজন। কিন্তু হার মানেননি তিনি। ২০১০ সালে আম বাগান তৈরি করার পাশাপাশি সরকারী সাহায্য নিয়ে পুকুর খনন করে ওই এলাকার জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন।
এই অবস্থায় নিজের জমিকে দুইভাগে ভাগ করে, একভাগে আম গাছ লাগান কাকাসাহেব এবং বাকিটাতে অন্য সবজি চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে ১০ একর জমিতে আম গাছ এবং অন্য ১০ একর জমিতে ডালিম, পেয়ারার মতো গাছ চাষ শুরু করেন।
একসময় আশেপাশের মানুষজন তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও, বর্তমান সময়ে প্রতি বছর ২০ টন আম উৎপাদিত হয় তাঁর বাগান থেকে, যা বিক্রি করে বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। তাঁর বাগানে প্রায় ২২ প্রজাতির আম (magno) গাছ রয়েছে। আম বিক্রির পাশাপাশি প্রায় ২ লক্ষ আম গাছের চারাও বিক্রি করেন তিনি। জানিয়ে রাখি, নিজের নার্সারিতে আবার ২৫ জনকে চাকরীও দিয়েছেন তিনি।