বর্তমান সময়ে মানুষ আজ নিজের ব্যবসার (Business) দিকে অনেক ঝোক বাড়িয়েছে। সঠিক ভাবে যদি নিজের ব্যবসা পরিচালনা করা যায় তবে কোন সরকারী চাকরিজীবীর থেকেও কয়েকগুণ বেশি আয় করা যায়। আলোচ্য বিষয়ে, এমনই একটি ব্যবসায়িক আইডিয়ার কথা বলতে যাচ্ছি, যা আপনার জন্য উপকারী প্রমান হতে পারে। আপনি এই ব্যবসা শুরু করে বিপুল পরিমাণ আয় করতে পারেন। অল্প পরিশ্রম করে বেশি আয় করতে চাইলে খুলতে পারেন “মুরগির খামার”।
আপনি এই ব্যবসা দুটি উপায়ে আয় করতে পারেন। একটি আপনি মুরগি বিক্রি করে এবং দ্বিতীয়টি আপনি ডিম বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারেন। এই ডিমের ব্যবসায় শেষ হবে চাকরির ঝক্কি, কম খরচে লাখ টাকা আয়। মুরগির খামার ব্যবসা থেকে আপনি নিঃসন্দেহে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন তবে এর জন্য সরকার থেকে ভর্তুকিও পাবেন।
একটি মুরগি প্রায় ২০ সপ্তাহ পর ডিম (Egg) দেওয়া শুরু করে। একটানা ২০ সপ্তাহ মুরগিকে খাওয়াতে খরচও খুব বেশি না। একটি লেয়ার প্যারেন্ট বার্ড বছরে প্রায় ৩০০টি ডিম পাড়ে। এই ক্ষেত্রে যদি ১৫০০টি মুরগি ধরা হয় তাহলে বছরে প্রায় ৪,৩৫,০০০ ডিম দিতে পারে। এই সব ডিম সহজেই বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি হবে। এমতাবস্থায় এই সব ডিম বিক্রি করে মোটা টাকা আয় করা যায়। বিশেষ করে যেকোনো বাজারে ডিমের চাহিদা ব্যাপক।
কিছু ডিম নষ্ট হওয়ার পরও যদি ৪ লাখ ডিম বিক্রি করতে সক্ষম হন, তাও আপনার প্রচুর টাকা আয় হবে। পাইকারি দরে ডিম বিক্রি হয় ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসেবে ৪ লক্ষ ডিমের দাম হয় ২০ লক্ষ থেকে ২৮ লক্ষ টাকা। মুরগি পালনের খরচ বাদ দিয়েও বছরে প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকা মুনাফা করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ১৫০০ মুরগির টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে ১০ শতাংশ বেশি মুরগি কিনতে হবে। কারণ, অসময়ে রোগের জন্য কিছু মুরগি মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।