এই পৃথিবীতে নানা ধরনের ঘটনা যেমন ঘটতে দেখা যায়, তেমন কিন্তু বিভিন অদ্ভুত ঘটনাও দেখা যায়। অনেক সময় মানুষের জীবনেও নানা ধরনের অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। যেমন ধরুন, অনেক রকম মানুষ দেখা যায় আমাদের এই পৃথিবীতে। তার মধ্যে কেউ লম্বা, কেউ বেটে, কেউবা মোতা আবার কেউবা রোগা।
সাধারণত লম্বা উচ্চতা বিশিষ্ট মানুষদের বলিউডের শাহেনশাহ বলা হয়ে থাকে। তাঁদের আবার বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বিগ বি অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও তুলনা করা হয়ে থাকে। আজ এমন একটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করব, যে পরিবারের সকলেই তাল গাছের মতই লম্বা এবং যারা ইতিমধ্যেই বিশ্ব রেকর্ডও নিবন্ধিত হয়েছেন।
এই কুলকার্নি পরিবার বর্তমান সময়ে মহারাষ্ট্রের পুনেতে থাকেন। পরিবারের প্রধান সদস্য ৫২ বছর বয়সী শরদ কুলকার্নির উচ্চতা ৭ ফুট ১.৫ ইঞ্চি। এখানেই শেষ নয়, শরদ কুলকার্নির বছর ৪৬-র স্ত্রী সঞ্জোটের উচ্চতা ৬ ফুট ২.৬ ইঞ্চি। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছেন, যাদের উচ্চতা ৬ ফুট করে। বড় মেয়ে মুরুগার বয়স ২২ এবং ছোট মেয়ে সানিয়ার বয়স ১৬ বছর। পরিবারের সদস্যদের মোট উচ্চতা প্রায় ২৬ ফুট ধরা যেতে পারে।
এই পরিমাণ উচ্চতা হওয়ার কারণে, পোশাক থেকে শুরু করে জুতো, বেশিরভাগ জিনিস কিনতে গিয়েই তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। পায়ের মাপ বড় হওয়ায়, সেই কারণে বিদেশ থেকে স্লিপার ও জুতা অর্ডার করেন তাঁরা। শুধুমাত্র পোশাক পরিচ্ছদই নয়, এই পরিবার বাইরে বেরোলে কোন গাড়ি চড়তে পছন্দ করেন না। কারণ উচ্চতা লম্বা হওয়ার দরুণ, গাড়িতে যাতায়াতে তাঁদের সমস্যা হয়।
তাঁদের উচ্চতা বেশি হওয়ায় তাঁর কাস্টমাইজড স্কুটি ব্যবহার করে থাকেন। আবার তাঁদের বক্তব্য, পায়ে হাঁটাই তাঁদের কাছে বেশি আরামের। সেই কারণে বেশিরভাগ সময়ে তাঁরা পায়ে হেটেই যাতায়াত করে থাকেন। জানিয়ে রাখি, ১৯৮৯ সালে ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী দম্পতির মর্যাদা অর্জন করে উচ্চতার জন্য ‘রিমকা ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ নাম উঠেছে এই কুলকার্নি দম্পতির। বর্তমান সময়ে এই পরিবার স্যোশাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয়।