দিন যত যাচ্ছে ধীরে ধীরে ভারত (India) তার সেনাবাহিনীকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলছে। দেশকে রক্ষা করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিভিন্ন দিক থেকে মজবুত করছে। উল্লেখ্য, ভারত (India) তার দেশের বাইরেও কিছু সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করে। ভারত এই ঘাঁটিগুলি শুধুমাত্র নিজের সুবিধার জন্যই ব্যবহার করে না, আয়োজক দেশগুলির প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যবহার করে। ভারত বহু বছর ধরে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এই লক্ষ্যে ভারত অন্য দেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এই পদক্ষেপগুলি ভারতের পাশাপাশি অনেক দেশের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে।
সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের উদ্দেশ্য সামরিক সরঞ্জাম এবং সৈন্যদের রক্ষা করা। এখানে অনেক ধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সৈন্যদের। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেবো সেই দেশগুলি সম্পর্কে, যেখানে ঘাটি গেড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
তাজিকিস্তান (Tajikistan)
ফারখোর বিমান ঘাঁটি কাজাখস্তানের ফারখোর শহরের কাছে অবস্থিত। এটি তাজিক বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় ভারতীয় বিমান বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। বিদেশে এটিই ভারতের প্রথম বিদেশী সামরিক সুবিধা। ইরানের চাবাহার বন্দর ভারতীয় পরিবহনকে আফগানিস্তান হয়ে ফারখোর ঘাঁটিতে পৌঁছানোর অনুমতি দেয়।
ভুটান
ভারতীয় সামরিক প্রশিক্ষণ দল পশ্চিম ভুটানের হাদজং-এ অবস্থিত। এটি ভুটানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ অভিযান। এটি রয়্যাল ভুটান আর্মি এবং ভুটানি সৈন্যদের রয়্যাল বডিগার্ডকে প্রশিক্ষণ দেয়।
মাদাগাস্কার
ভারত মহাসাগরে জাহাজের গতিবিধি নিরীক্ষণের জন্য উত্তর মাদাগাস্কারে ভারত তার প্রথম বিদেশী লিসেনিং স্টেশন স্থাপন করেছিল। এটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি মাদাগাস্কার নৌবাহিনীকে দেশের উপকূলরেখার নজরদারিতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।
মরিশাস
ভারত উত্তর আগালাগা দ্বীপে একটি উপকূলীয় নজরদারি রাডার সিস্টেম স্থাপন করেছে। এই দ্বীপটি ভারত মহাসাগরে অবস্থিত। এর উদ্দেশ্য ভারতীয় এবং মরিশাস বাহিনীর মধ্যে সামরিক সহায়তা প্রদান করা।
শ্রীলংকা
চীনা নৌবাহিনীর উপর নজর রাখতে ভারত ২০১৮ সালে হাম্বানটোটায় শ্রীলঙ্কার বিমানঘাঁটি কিনেছিল। এটি চীনা হুমকির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
নেপাল
নেপালের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী প্রায়ই প্রতিবেশী দেশকে রক্ষা করে। ভারতীয় বায়ুসেনা সুরক্ষাতে একটি এয়ার স্ট্রিপ রক্ষণাবেক্ষণ করে।