যাতায়াত ব্যবস্থার মধ্যে রেলপথকে (rail) সবথেকে জনপ্রিয় পরিবহন ব্যবস্থা বলে গণ্য করা হয়। অনেকের কাছেই রেল জার্নি অনেকখানি আরামদায়ক। ভারতীয় রেলের অর্থাৎ ভারতের মধ্যে মোট ৭,৩২৫ টি রেল স্টেশন রয়েছে। যেখানে প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন।
এই সকল রেলস্টেশনের (rail station) মধ্যে কিছু সবচেয়ে দীর্ঘতম প্ল্যাটফর্ম হিসাবে বিখ্যাত, আবার কিছু স্টেশন সৌন্দর্যের দিক থেকে বিখ্যাত। আবার এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যা বিশেষ কিছু কারণের জন্যও বিখ্যাত।
নবাপুর রেল স্টেশন (navapur rail station)– গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র এই দুই রাজ্যের মধ্যে পড়ে এই রেল স্টেশন। যখন মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট একটি রাজ্য ছিল, তখন এই রেলস্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। এরপর ১৯৬২ সালের ১ লা মে মুম্বাই প্রদেশ ভাগ হওয়ার পর মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট আলাদা হয়ে যায়। তাই বর্তমান সময়ে এই স্টেশনে বসার সময় যাত্রীরা কোন অংশে বসছেন, সেটা মনে রাখতে হবে।
ভবানী মান্ডি রেল স্টেশন (bhawani mandi rail station)- রাজস্থানের ঝালাবার জেলা আর মধ্যপ্রদেশের কোটার জেলার মাঝেরয়েছে এই স্টেশন। স্টেশনের একপ্রান্তে রয়েছে রাজস্থান রাজ্যের বোর্ড এবং অন্যদিকে রয়েছে মধ্য প্রদেশ রাজ্যের বোর্ড। দিল্লী-মুম্বাইয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এই স্টেশন।
ঝাড়খণ্ডের বেনামী রেলস্টেশন- ঝাড়খণ্ডের তোরিগামী রেললাইনে লোহারডাগার সামনে ২০১১ সালে একটি স্টেশন তৈরি হয়, যার এখনও নামকরণ করা হয়নি। এই স্টেশনের নাম প্রথমে বাদকিচাম্পি রাখা হলেও, গ্রামবাসীরা এবিষয়ে আপত্তি জানায়। তাঁদের দাবী এই স্টেশনের নাম কামলে রাখা হোক। রেল কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামবাসীদের মধ্যেকার বিবাদের জেরে আজও এই স্টেশন নামহীন ভাবেই রয়েছে।
অটারী রেলওয়ে স্টেশন (Attari Railway Station)- ভারতের মধ্যেই রয়েছে এই অটারী রেলওয়ে স্টেশন। কিন্তু এই স্টেশনে যেতে গেলে আপনার কাছে অবশ্যই ভিসা থাকতে হবে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত অমৃতসরের অটারী রেলওয়ে স্টেশনে যেতে গেলে অবশ্যই আপনাকে পাকিস্তান থেকে ভিসা নিতে হবে, নাহলে সমস্যায় পরতে হবে।
বাঁকুড়ার নামহীন রেল স্টেশন- পশ্চিমবঙ্গেই এমন একটি রেলস্টেশন রয়েছে যার নাম নেই। বর্ধমান জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে রায়না গ্রামে ভারতীয় রেল (indian railway) ২০০৮ সালে রেল স্টেশন তৈরি করলেও, এখনও সেই স্টেশনের (railway stations) কোন নামকরণ করা হয়নি। জানা যায়, রায়না এবং রায়নগর, এই দুই গ্রামের মধ্যে মতপার্থক্য থাকার জন্য আজও এই স্টেশন নামহীনভাবে রয়েছে।