এই মুহূর্তে হিন্দি ছবির সুপারস্টারদের মধ্যে হৃতিক রোশন”কে সবচেয়ে শক্তিশালী লাইন আপ বলে মনে হচ্ছে। এই মুহূর্তে তিনি ফাইটারের শুটিং করছেন। এটি মোকাবেলা করার পরে, তিনি ২টি যুদ্ধ শুরু করবেন। তারপরে তিনি তার স্বপ্নের প্রকল্প ক্রিশ 4- এ যাবেন। এই সব ছবি একত্র করলে, এই সময়ে বাজারে ১০০০ কোটি টাকা ঋত্বিক রোশনকে নিয়ে ব্যস্ত। আর এই টাকা সুদসহ ফেরত আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলেই নিশ্চিত।
হৃতিক রোশনের শেষ তিনটি ছবির অভিনয় মিশ্র হয়েছে। ‘সুপার 30’ ছিল গড় আয়। ‘ওয়ার’ হয়ে গেল বছরের সর্বোচ্চ আয় করা ছবি। ‘বিক্রম ভেদা’ ছিল ফ্লপ। তা সত্ত্বেও মানুষ হৃতিকের ওপর টাকা বিনিয়োগ করতে ভয় পায় না। ছবিটি খুব একটা ভালো পারফর্ম না করলেও হৃত্বিক রোশনের নামে ছবির খরচ আদায়ের নানা উপায় রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হৃতিক রোশন বর্তমানে সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘ফাইটার’-এর শুটিং করছেন। জুনে এর শুটিং শেষ হবে। এরপর তিনি ছবির জন্য কিছু গান ও প্যাচওয়ার্কের শুটিং করবেন। এখান থেকে সুটটিং শেষ করে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তিনি ‘ওয়ার 2’-এর কাজ শুরু করবেন।
এক বছরের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই ছবির শুটিং হবে। অয়ন মুখার্জি পরিচালিত এই ছবিতে হৃতিকের সঙ্গে দেখা যাবে এনটিআর জুনিয়রকে। এটি হবে হৃতিকের ক্যারিয়ারের প্রথম যথাযথ প্যান-ইন্ডিয়া ছবি। এবং ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ, হৃতিক তার স্বপ্নের প্রকল্প ‘ক্রিশ 4’-এর দিকে এগিয়ে যাবেন।
বর্তমানে এই ছবির পরিচালক করণ মালহোত্রার নাম বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হননি তিনি। প্রযোজক হিসেবে এই ছবির সঙ্গে যুক্ত আছেন সিদ্ধার্থ আনন্দও। বলা হচ্ছে, ‘ক্রিশ’ সিরিজের শেষ দুটি ছবিও সাউথের পছন্দ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ‘ওয়ার 2’ দিয়ে মুক্তির পর তিনি ‘ক্রিশ 4’-কেও দেশব্যাপী শীর্ষ স্থানে নিয়ে যেতে চান।
সূত্রের খবরে বলা হয়েছে যে, এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে হৃতিক ‘ক্রিশ 4’ নিয়ে কোনও সুযোগ নিতে চান না। তিনি তার টিমকে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তিনি ‘ক্রিশ 4’ ভারতের সবচেয়ে বড় ছবি বানাতে চান। ভিজ্যুয়াল থেকে স্কেল পর্যন্ত, আমরা ‘ক্রিশ 4’ কে ‘ওয়ার 2’ থেকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই প্রতিটি স্তরে। তার নির্দেশে তার দল কাজ শুরু করেছে।
হৃতিক রোশন পর পর তিনটি অ্যাকশন ছবি করছেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন প্রতিটি ছবিই আগের ছবির থেকে আলাদা, ভালো এবং বড় হওয়া উচিত। এই তিনটি ছবির কোনোটির চরিত্র, গল্প বা ভিজ্যুয়ালে যেন কোনো মিল না থাকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রেখেছেন তিনি। প্রতিটি চলচ্চিত্রের আলাদা জগৎ থাকা উচিত। যাতে মানুষ সেসব সিনেমা দেখতে আগ্রহী থাকে।