সৌরজগতে, শুধুমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণ আছে। এই গ্রহটিকে হিন্দিতে বলা হয় ‘পৃথ্বী’, ইংরেজিতে বলা হয় ‘আর্থ’। কখনো ভেবেছেন কি, কেন একে পৃথিবী বলা হয়? আমাদের গ্রহের নাম পৃথিবী হলো কিভাবে? চলুন যেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। আসলে, পৃথিবী একটি ইংরেজি/জার্মান শব্দ, যার অর্থ হিন্দিতে ‘ভূমি’। এটি প্রাচীন ইংরেজি শব্দ ‘eor(th)e’ এবং ‘ertha’ থেকে উদ্ভূত। রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবী নামের এই গ্রহটির বয়স ১০০০ বছরেরও বেশি।
তথ্য অনুসারে, পৃথিবীতে ৩২৬ মিলিয়ন ট্রিলিয়ন গ্যালনেরও বেশি জল রয়েছে। এই জলের মাত্র তিন শতাংশই পান করার যোগ্য। বায়ুমণ্ডল পৃথিবী থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার উপরে। কখনো ভেবেছেন কিভাবে এটা স্থায়ী হয়? আসল ব্যাপার হল, বায়ুমণ্ডল হল একটি গ্যাসের মিশ্রণ, যা পৃথিবীকে ঘিরে আছে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টানের কারণে এটি বজায় থাকে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রায় ৭৮% নাইট্রোজেন, প্রায় ২১% অক্সিজেন, ০.৯% আর্গন এবং ০.০৩% কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য উপাদানগুলিও খুব কম শতাংশে উপস্থিত রয়েছে। এছাড়া জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা, পরাগ, উদ্ভিদের শস্য এবং অন্যান্য কঠিন কণাও বায়ুমণ্ডলে থাকে।
পৃথিবীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, এটি ছিল -৮৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অ্যান্টার্কটিকার ভোস্টক স্টেশনে রেকর্ড করা হয়েছিল। একই সময়ে লিবিয়ার মরুভূমিতে সর্বোচ্চ ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।