ভালো কোম্পানির চাকরি ছেড়ে শুরু করেছিলেন কলার চিপস (Banana Chips) তৈরির কাজ। নিজের কোম্পানি বিয়ন্ড স্ন্যাকসে মনোনিবেশ করার জন্য ২০১৮ সালে চাকরি ছাড়েন কেরলের আলাপ্পুঝার বাসিন্দা মানস মধু। কাঁঠাল এবং কলার মধ্যে কলার চিপস তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি।
নিজের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘পড়াশুনার জন্য যখন বিভিন্ন রাজ্যে আমি ভ্রমণ করতাম, তখন আমার বাবা মা আমার ব্যাগে কলার চিপস (Banana Chips) দিয়ে দিতেন। আপনি যদি কেরলে ঘুরতে যান তাহলে প্রাতঃরাশে আপনি এই চিপস খেতে পারবেন। তবে প্রথমে খুব কম ব্যান্ড ছিল, যারা প্রথমে কলার চিপস তৈরি করতেন। তখন স্থানীয় দোকান এবং বেকারির উপর নির্ভর করে থাকতে হত। তবে বিয়ন্ড স্ন্যাকসের চিপস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম’।
এই কাজের জন্য মাসন কেরালা এবং অন্যান্য দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির কৃষকদের থেকে কলা কিনে কাজ শুরু করেন। তিনি জানান, প্রথমে কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি করে কলা সংগ্রহ করতেন। তিনি আরও জানান, কোনরকম স্পর্শ ছাড়াই কলার চিপস প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এরপর বিভিন্ন স্বাদের কলার চিপস ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, খুচরা দোকান এবং সুপারমার্কেটে বিক্রি করা হয়।
তিনি আরও জানান, ‘বিগত ৩ মাসে ১৭০ মেট্রিক টন কলা প্রক্রিয়াজাত করেছে বিয়ন্ড স্ন্যাক্স। এই বিক্রয়হার কৃষকদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে এবং স্টোরেজে উৎপাদিত পণ্যের অপচয় এড়াতেও সাহায্য করে। যখন বাজারে ৮৫ গ্রাম চিপসের প্যাকেটের মূল্য ২০-৩০ টাকা ছিল, তখন আমরা সেটা ৬০ টাকায় বিক্রয় করি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের গুণগত মানের জন্য, সকলে আমাদের দিকেই এগিয়ে আসে’।
করোনাকালে বিক্রয় কিছুটা হ্রাস পেলেও, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেরী করেননি মানস। যা কিছুদিনের মধ্যেই অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে বিগবাস্কেট, জিও মার্ট, ইন্ডিয়া মার্ট, দ্য গুড স্টাফ এবং অন্যান্য প্রধান প্ল্যাটফর্মেও এই কলার চিপস (Banana Chips) পাওয়া যায়। মানস জানান, প্রথমে তাঁর টার্গেট ছিল কেরালাবাসীর মধ্যে এই চিপস ছড়িয়ে দেওয়া। বর্তমানে তা ধীরে ধীরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, নেপাল এবং মরিশাসেও ছড়িয়ে পড়েছে। মাসে প্রায় ১ কোটি টাকার বিক্রি হয় মানসের।