যদি অলৌকিক কার্যকলাপ সম্পর্কে কথা বলা হয়, তাহলে প্রথমেই ফিল্ম বা সিরিয়ালের দৃশ্য মাথায় আসে। কিন্তু বাস্তবেও এমন অনেক ঘটনা সাক্ষী রয়েছে। আজ প্রতিবেদনে ভারতের এমন ৬ টি রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যেগুলির সম্পর্কে লোকেরা বলে, এখানে অলৌকিক কার্যকলাপ অনুভব করা যায়। যদিও বিজ্ঞান এই জিনিসগুলি মেনে নেয় না। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করে যে এখানে ভুতুড়ে কিছু অবশ্যই আছে।
কলকাতার মেট্রো স্টেশন:
কলকাতার মেট্রো স্টেশন নিয়ে অনেক অলৌকিক কার্যকলাপের গল্প আছে। শেষ মেট্রো চলে এখানে রাত ১০.৩০ টায়, তারপরে স্টেশনটি জনশূন্য হয়ে যায়। অনেক সময় মানুষের মনে হয়েছে এখানে হঠাৎ ট্র্যাকের মাঝখানে একটা ছায়া এসে চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই মেট্রো স্টেশনে বহু মানুষ প্রাণও দিয়েছেন।
বেগুনকোদর স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ:
ভূতের গল্পের কারণে পশ্চিমবঙ্গের এই রেলস্টেশনটি ৪২ বছর ধরে বন্ধ ছিল। আজও মানুষ সন্ধ্যার পর এই স্টেশনে যেতে ভয় পায়। এই সম্পর্কে একটি গল্প আছে যে, এখানকার স্টেশন মাস্টার একদিন রাতে ট্র্যাকের মাঝে এক মহিলার ছায়া দেখেন এবং তার পরে তিনি মারা যান। তারপর থেকে এটি একটি ভুতুড়ে স্টেশন হিসাবে বিবেচিত হয়।
বারোগ স্টেশন, হিমাচল প্রদেশ:
৩৩ নম্বর টানেল একটি সুড়ঙ্গ, বারোগ স্টেশনের পাশে অবস্থিত। বলা হয়ে থাকে যে এখানে প্রায়ই প্যারানরমাল কাজকর্ম ঘটে থাকে। ব্রিটিশ প্রকৌশলী কর্নেল বারোগ এই টানেলটি তৈরি করেছিলেন। এই সুড়ঙ্গের কাছেই তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তারপর থেকে দাবি করা হয় যে, কর্নেল বারোগের আত্মা এই সুড়ঙ্গে বাস করে।
চিত্তুর স্টেশন, অন্ধ্রপ্রদেশ:
অন্ধ্রপ্রদেশের এই স্টেশন সম্পর্কে অনেক ভূতের গল্পও বলা হয়। একটি গল্প আছে যে এখানে একজন সিআরপিএফ জওয়ানকে RPF এবং TTE একসাথে প্রচুর মারধর করেছিল, যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকে সেই মৃতের আত্মা বিচারের জন্য স্টেশনে ঘুরে বেড়ায়।
নৈনি স্টেশন, উত্তরপ্রদেশ:
উত্তরপ্রদেশের নৈনি স্টেশন সম্পর্কে বলা হয় যে, এখানে প্রায়ই কিছু অদ্ভুত জিনিস দেখা যায় রাতের বেলায় স্টেশন এবং রেলপথ চত্বরে। পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে যে, স্টেশনের কাছে অবস্থিত নৈনী কারাগারে অনেক মুক্তিযোদ্ধা বন্দী ছিলেন, যাদের অনেক নির্যাতন করা হয়েছিল এবং পরে তারা মারা গিয়েছিলেন। বলা হয় যে সেই মুক্তি যোদ্ধাদের আত্মা এখানে বিরাজমান।
লুধিয়ানা স্টেশন, পাঞ্জাব:
লুধিয়ানা স্টেশনে ও অস্বাভাবিক কার্যকলাপ দেখা যায়। এখানে একটি কাউন্টার রয়েছে, যার নাম ভূতিয়া। এখানে রিজার্ভেশন কাউন্টারে বসতেন সুভাষ নামে এক ব্যক্তি। তিনি কাজকে খুব ভালোবাসতেন। এই কারণে তার মৃত্যুর পর যে ব্যক্তি ওই ঘরে কাজ করতে যেতেন, তাকেই অনেক ঝামেলা সামলাতে হতো।