আসানসোলের (asansol) শিল্পপতি এবং আসানসোলের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর শোনাল রেল কর্তৃপক্ষ। আসানসোল রেলওয়ে ডিভিশনের হতে চলেছে এক নতুন বিষয়। আসানসোল রেলওয়ে ডিভিশনের ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সানি বিশ্বজিৎ জানান, এই প্রথমবার আসানসোল ডিভিশনে এলএইচবি কোচ চালবে, যা লাল ও সাদা রঙের তৈরি। পাশাপাশি দীর্ঘ রুটের ট্রেনগুলিতে থাকছে প্যান্ট্রি কারের সুবিধাও।
নতুন কোচ যুক্ত করার পর থেকে এবার ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার চলবে এই ট্রেন। আগে এই ট্রেন ১১০ কিমি প্রতি ঘন্টায় চলত। তবে এবার এই ট্রেনের গতিও কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাত্রী সুবিধার্থে প্যান্ট্রি কারের সঙ্গে এই ২৩ কোচের ট্রেনে স্লিপার ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচও বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার থেকেই রেললাইনে চলতে শুরু করবে এই নতুন ট্রেন। সবরকম নিরাপত্তা মুড়ে রাখা হয়েছে এই ট্রেন (train)। চলার সময় যাতে কোন ঝাঁকুনি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে যাত্রী সুবিধার্থে ট্রেনে বসার ও ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক প্যাডেড সিট লাগানো হয়েছে। নতুন রূপে এই ট্রেনে বেশকিছু সুযোগ সুবিধাও যুক্ত করা হয়েছে।
এই ট্রেনে (train) ভিতরের ক্যাম্পাসে আসন সংখ্যা বেশি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাইরের ক্যাম্পাসের চেহারা দেখতে বেশ সুন্দর করা হয়েছে। পাশাপাশি টয়লেট বেসিল লাইট ফিটিং টয়লেট পাইপ ফিটিং এলইডি লাইট এই এলএইচবি কোচে সব সুবিধা পাওয়া যাবে। যাত্রীদের যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয়, সেই সবদিকটাই খুব ভালো করে দেখা হয়েছে।
আসানসোল গোন্ডা এবং আসানসোল গোরখপুর জাসিডিহ তাম্বারা সহ সমস্ত ট্রেনে এই জাতীয় করার এবং নন এসি কোচ বাড়ানোর কাজ চলছে। আসানসোল (asansol) বিভাগের কোচিং কমপ্লেক্সে এই কাজ চলছে। জানিয়ে রাখি, আসানসোল-ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এক্সপ্রেস প্রতি রবিবার আসানসোল (asansol) স্টেশন থেকে রাত ৭ টা বেজে ৪৫ মিনিটে ছেড়ে মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় মুম্বাই পৌঁছায়, যাত্রাপথে পাটনার উপর দিয়ে যাবে এই ট্রেন (train)।