রাজস্থানের ধোলপুর জেলায় এক যুবক শিক্ষক হওয়ার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানে (Political Seience) এম.এ (MA) করেছেন এবং তারপর বি.এড করেছেন। এমএ, বিএড করার পরও যুবক যখন শিক্ষক হতে পারেননি, তখন তিনি কৃষিতে উদ্ভাবনী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঐতিহ্যবাহী কৃষির পাশাপাশি জৈব চাষ শুরু করেন। যুবকটি কৃষক হিসেবে তার ক্ষেতে জৈব চাষ শুরু করে এবং প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। এই দেখে আশপাশের অন্যান্য কৃষকরা তার কাছে গিয়ে জৈব চাষ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা নিচ্ছেন।
ধৌলপুর জেলার পাথারিলে এলাকার সারমাথুরা মহকুমার খোখলা গ্রামের বাসিন্দা “গয়াপ্রসাদ মীনা” প্রমাণ করলেন, উচ্চশিক্ষা অর্জন করে কৃষক হয়ে নিজের ক্ষেতে ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করা যায়। নিজে চাষে করে এবং নতুন-নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জৈব চাষে সফল হয়েছেন এই কৃষক।
গয়াপ্রসাদ মীনা, যিনি হলুদ এবং জৈব আখ চাষের পাশাপাশি জৈব গুড়’ও তৈরি করেন। তিনি আশেপাশের এলাকার কৃষকদের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন। কৃষক গয়াপ্রসাদ আদা, ইয়াম এবং কোলোকেশিয়ার মতো ফসল ফলিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন। এই বছর হলুদ ও জৈব আখ চাষের পাশাপাশি জৈব গুড় তৈরির কাজ করেছেন গয়াপ্রসাদ।
তিনি চার বিঘা জমিতে অর্গানিক আখ ও আধা বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। এবং এসব আখ থেকে জৈব গুড় তৈরি করে নিজের ক্ষেত থেকেই বিক্রি করেন তিনি। তার জমিতে চার থেকে পাঁচ জাতের আখ রয়েছে। গয়াপ্রসাদ মীনা জানান, বর্তমানে তিনিও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজ করছেন। চাষে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শুরু করেছেন, যাতে বেশি লাভ করা যায়।
গয়াপ্রসাদ প্রাথমিকভাবে আখের পাশাপাশি হলুদের বীজ সংগ্রহ করেছিলেন, এবং জমির একটি ছোট অংশে জৈব হলুদ চাষ শুরু করেছিলেন। তিনি জানান, তার আধা বিঘা জমিতে হলুদ চাষের ফলন ভালো হয়েছে এবং এই হলুদের ফলন প্রায় ৩০ কুইন্টাল। তিনি রাসায়নিক সার ব্যবহার না করেই জৈব চাষ করেছেন। কারণ এই পক্রিয়ায় চাষে ফলন অনেক বেশি হয়। তাই তিনি গোমূত্র, নিম পাতা, অন্যান্য গাছের পাতা এবং অন্যান্য কিছু ব্যবহার করে বাড়িতেই সার তৈরি করেন।