পৃথিবীর প্রতিটি বাবা-মায়ের একটাই ইচ্ছা থাকে যে তাদের সন্তান জীবনে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাক। এবং আর্থিক দিক থেকেও স্বাবলম্বী হোক। সম্প্রতি অনেক রাজ্য বোর্ড ১০ তম এবং ১২ তম ফলাফল ঘোষণা করেছে। যেখানে আমরা টপারদের অনেক প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করার গল্পও শুনেছি। জয়পুরের অটোরিকশা চালকের মেয়ে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
একই সময়ে, বিহারের একটি ছেলে জেলা টপার হয়েছে যার বাবা-মা নেই। হরিয়ানায় কন্ডাক্টরের মেয়ে রাজ্যে শীর্ষে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে অনেক শিক্ষার্থী ভালো পারফর্ম করে। অনেকেই রেকর্ড ব্রেকিং মার্কস নিয়ে আসে কিন্তু সবার গল্প সংবাদপত্রে পৌঁছায় না। কিছু ছাত্রের গল্প স্কুলের বোর্ডেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়।
মহারাষ্ট্রের আকোল থেকে একজন অটোরিকশা চালক এবং তার ছেলের গল্প হয়তো খবরের শিরোনাম করেনি, কিন্তু তাতে তার গর্ব কমেনি। বিকাশ অরোরা নামে এক ব্যক্তি লিঙ্কডইনে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। বিকাশ লিখেছেন যে, মহারাষ্ট্রের আকোলা’র বাসিন্দা একজন অটো চালক তাকে তার ছেলে ‘গরুড় শচীন বালু’র (Garud Sachin Balu) মার্কশিট দেখিয়েছিলেন।
ঐ অটো চালকের ছেলে ১২ তম শ্রেণিতে ৬০০ এর মধ্যে ৫৯২ নম্বর পেয়েছিল। অটোরিকশা চালক তার আনন্দ যাত্রীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছিলেন। কয়েকদিন আগে এক তরুণ তার মায়ের দশম শ্রণীর ফলাফল লিঙ্কডইনে শেয়ার করেছিলেন। প্রসাদ বলেছিলেন যে, তাঁর মা গোপনে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন এবং ৭৯.৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।