পকেটে নগদ টাকা বহন করা এখন অতীত হয়ে যাবে। আসলে, সাধারণ ভারতীয়দের কাছে ডিজিটাল রুপি আসতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ১লা ডিসেম্বর থেকে খুচরা ডিজিটাল রুপি চালু করার ঘোষণা করেছে। কি এই ডিজিটাল রুপি? জানা আছে কি এর সুবিধা এবং অসুবিধা? চলুন এই প্রতিবেদনে যেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল রুপি সম্পর্কে বিস্তারিত।
১লা নভেম্বর, ২০২২-এ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাইকারি লেনদেনের জন্য ডিজিটাল রুপি চালু করেছিল এবং এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক খুচরা ব্যবহারের জন্য এই ডিজিটাল মুদ্রা (CBDC) চালু করতে চলেছে। এই বিষয়ে আগেও তথ্য শেয়ার করেছিল আরবিআই। বলা হয়েছিল যে, CBDC (ডিজিটাল রুপি) হবে অর্থপ্রদানের একটি মাধ্যম, যা সমস্ত নাগরিক, ব্যবসায়ী, সরকারি এবং অন্যান্যদের জন্য একটি আইনি দরপত্র হবে।
এর মূল্য নিরাপদ স্টোরের আইনি টেন্ডার নোটের (বিদ্যমান মুদ্রা) সমান হবে। দেশে আরবিআই-এর ডিজিটাল কারেন্সি (ই-রুপি) চালু হওয়ার পরে, আপনার কাছে নগদ রাখার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাবে, এমনকি এটি রাখারও প্রয়োজন হবে না। ই-রুপি একটি ডিজিটাল টোকেনের মতো কাজ করবে। অন্য কথায়, CBDC হল RBI দ্বারা জারি করা মুদ্রা নোটের ডিজিটাল রূপ।
এটি মুদ্রার মতোই লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আরবিআই-এর মতে, ই-রুপির বিতরণ ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে করা হবে। ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি বা ব্যক্তি থেকে ব্যবসায়ী লেনদেন করা যেতে পারে। মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে ডিজিটাল রুপি দিয়ে লেনদেন করতে পারবে। QR কোড স্ক্যান করেও পেমেন্ট করা যাবে।
উল্লেখ্য, মোবাইল ওয়ালেটের মতো এতে পেমেন্ট করার সুবিধা থাকবে। আপনি সহজেই ডিজিটাল রুপিকে ব্যাঙ্ক মানি এবং নগদে রূপান্তর করতে পারবেন। বিদেশে টাকা পাঠানোর খরচও কম হবে। সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার হল, ই-রুপি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও কাজ করবে। ই-রুপির মূল্যও বিদ্যমান মুদ্রার সমান হবে।