ভ্রমণ প্রেমীদের কাছে ঘুরতে যাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় হয় না। তারা বছরের যে কোন সিজনে নতুন নতুন স্থানে বেড়াতে যেতে চান। ভ্রমণ পিপাসুরা নিজেদের ছুটি কাটাতে প্রায় ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। বর্তমান সময়ে অর্থাৎ বসন্তকালে ভারতে এমন কিছু স্থান রয়েছে যার প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। দীঘা, মন্দারমনি এখনো অতীত, কলকাতার কাছেই এই পর্যটন স্থান আপনার ভ্রমণের সেরা বিকল্প হতে পারে। আলোচ্য বিষয়ে আমরা “পুরুলিয়া” (Purulia) ভ্রমণের কথা বলছি।
বসন্তকালে লাল পলাশে ভরে ওঠে পুরুলিয়ার পরিবেশ। বহু বাঙালি পর্যটকরা এই সময় পাড়ি জমান পুরুলিয়া। এখনে ‘মুরগুমা’ নামক একটি জায়গা রয়েছে, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যায় এখানে আসা পর্যটকরা। পুরুলিয়ার রুক্ষ মাটিতে এই জায়গা যেন সবুজের প্লাবন নিয়ে আসে। এই অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড়ের ঘেরা জলাশয়। চারিদিকে দেখা যাবে পলাশ, শাল, সেগুন, মহুলের সবুজ বন।
মুরগুমা বাঁধ, হ্রদ বা জলাধারটি বেগুনকোদরের উত্তরে ঝালদা ব্লকের মধ্যে অবস্থিত এবং পুরুলিয়া শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে। এটি পুরুলিয়া জেলার আদিবাসী গ্রাম, পুরুলিয়া (পশ্চিমবঙ্গ) এবং ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে অবস্থিত। এখানের বিখ্যাত বাঁধটি কংসাবতী নদীর উপনদীতে অবস্থিত। মুরগুমা উইকএন্ডের জন্য খুব সুন্দর জায়গা। এখান থেকে অযোধ্যা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যায়।
অযোধ্যা পাহাড় রেঞ্জের একটি অংশ হওয়ায়, মুরুগুমাকে প্রায়ই অতিথিরা স্টপওভার হিসাবে ব্যবহার করে। অযোধ্যা পাহাড়ের প্রধান আকর্ষণ যেমন লোয়ার ড্যাম, আপার ড্যাম, পাখি পাহাড়, বামনি জলপ্রপাত, তুরগা জলপ্রপাত, দেউলঘাটা মন্দিরের মতো অসাধারণ স্থান। মুরগুমা কলকাতা থেকে প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে। এখানে যাওয়ার জন্য রূপসী বাংলা ট্রেন খুব সকালে পাওয়া যায়, যেটি কলকাতা এবং পুরুলিয়ার মধ্যে চলে।
এই ট্রেনটি পুরুলিয়া পৌঁছায় রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ। এরপর আপনি যে কোন গাড়ি ভাড়া করে মুরগুমা পৌঁছাতে পারবেন। আরেকটি জনপ্রিয় ট্রেন হল হাওড়া চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার। এর জন্য ঝাড়খণ্ডের ‘মুরি’ স্টেশনে নামতে হবে। মুরি স্টেশন থেকে মুরুগুমা মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই অসাধারণ স্থানে ভ্রমণ আপনার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে।
এই জন্য আপনাকে রাঁচির রাস্তাটি ব্যবহার করতে হবে, এবং বেগুনকোদর হয়ে মুরগুমা যেতে হবে। দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং পুরুলিয়া যেতে এটি প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় নেয়। আরেকটি জনপ্রিয় ট্রেন হল হাওড়া চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার, ঝাড়খণ্ডের মুরি স্টেশনে পৌঁছায়। মুরি স্টেশন থেকে মুরুগুমা ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই অসাধারণ স্থানে ভ্রমণ আপনার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে।