বর্তমানে টেসলার সিইও এবং টুইটারের নতুন মালিক “ইলন মাস্কে”র (Elon Mask) মোট সম্পদের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমছে। ইতিমধ্যে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম স্থান হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছেন। সেক্ষেত্রে সেই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন ফরাসি ধনকুবের ‘বার্নার্ড আরনাল্ট’। তার মোট সম্পদ $১৫৯ বিলিয়ন।
এদিকে, ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ২০২২ সালের শুরু থেকে, এলন মাস্কের মোট সম্পদ প্রায় অর্ধেক হয়েগেছে। শুধু তাই নয়, এই বছর মাস্ক মোট ১৩২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে সেরা ধনকুবেরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানের জন্য ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে নামতে হবে ইলন মাস্ককে।
মাস্ক এবং আদানির মধ্যে ব্যবধান সংকুচিত হচ্ছে। টেসলার সিইও ইলন মাস্ক বর্তমানে $১৩৯ বিলিয়ন সম্পদের সাথে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে, গৌতম আদানি ১১০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। কিছু দিন আগে পর্যন্ত, মোট সম্পত্তির পরিপ্রেক্ষিতে আদানি এবং মাস্কের মধ্যে ব্যবধান ছিল $৬০ বিলিয়নের বেশি। কিন্তু, এখন তা ২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
এই প্রসঙ্গে, এলন মাস্কের মোট সম্পদের একটি বড় অংশ আসে তার কোম্পানি টেসলার শেয়ার থেকে। এদিকে, বছরের শুরু থেকে টেসলার স্টক প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়াও, কয়েক মাস আগে, মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি টুইটার অধিগ্রহণ করেছিলেন। যার জন্য মাস্ক বিপুল সংখ্যক টেসলার শেয়ার বিক্রি করেছেন।
টেসলার স্টক তখন থেকেই ক্রমাগত চাপের মধ্যে রয়েছে। উল্লেখ্য, টুইটার কেনার জন্য মাস্ক বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে ঋণও নিয়েছেন। এদিকে, আরেক ভারতীয় বিলিয়নেয়ার, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি $৮৫.৫ বিলিয়ন সম্পদের সাথে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন৷ তবে এই বছর তার সম্পদ ৪.৫৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে।