Skip to content

আগে সামোসা ত্রিভুজাকার ছিল না, ভারতে এসে আলুও ঢুকেছিল ভিতরে, জেনে নিন মজার জিনিস

    img 20230319 151304

    সামোসা বা সিঙারা ভারতে একটি জনপ্রিয় স্ন্যাক, তবে এর উত্স এখনও অস্পষ্ট। কিন্তু অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন যে, ইরানি বা মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়ীরা সামোসা ভারতে নিয়ে আসেন। এমনই একটি খাবারের সন্ধান পাওয়া গেছে ইরানে। ফারসি ভাষায় এর নাম ছিল ‘সাম্বুশাক’ (Sambusak), যা ভারতে আসার সময় সামোসা হয়ে যায়। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে সামোসাকে সিঙারা বলা হয়। ১১ শতকের ঐতিহাসিক আবুল-ফাল বেহাকির লেখায় প্রথম সামোসার উল্লেখ পাওয়া যায়। যেখানে তিনি গজনভিদের দরবারে মাংসের কিমা এবং ময়দার সাথে ঠাসা নোনতা খাবারের উল্লেখ করেছেন।

    img 20230319 151335

    যদিও কিছু ঐতিহাসিক বলেছেন যে, সমোসার উদ্ভাবন হয়েছিল ভারতের উত্তরাঞ্চলে। আজ আমরা যে সমোসার স্বাদ উপভোগ করি তা শত বছর আগে সেই স্বাদ ছিল না। সামোসার উৎপত্তি মধ্য এশিয়ায় বলে মনে করা হয়, যেখানে এটি ‘সামসা’ নামে পরিচিত ছিল। সামোসা প্রথম প্রবর্তিত হয়েছিল মধ্যযুগীয় যুগে যখন ব্যবসায়ীরা সিল্ক রুট হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে আসেন।

    img 20230319 151403

    এটা বিশ্বাস করা হয় যে, আগে সামোসা ত্রিভুজাকার ছিল না এবং এতে আলুও ব্যবহার করা হত না। তখন সমোসায় মাংস ও বাদাম বেশি ব্যবহার করা হতো। ভারতে সামোসার একটি নতুন রূপ গৃহীত হয়েছিল। এখানে সমোসাগুলিকে ত্রিভুজ তৈরি করা হয়েছিল এবং প্রথমবারের মতো এতে আলুর স্টাফিং করা হয়েছিল। পর্তুগিজরা ১৬ শতকে ভারতে আলু নিয়ে এসেছিল এবং তখন থেকে আলুকে সমোসায় যোগ করা হয়েছে।

    আলুর সমোসা অনেক পছন্দ হতে থাকে। আজ সামোসা ভারতীয় রন্ধনশৈলীর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, যা সারা দেশে একটি জলখাবার হিসাবে উপভোগ করা হয়। একটি অনুমান অনুসারে, ভারতে প্রতিদিন ৭০ মিলিয়ন সামোসা খাওয়া হয়। এবং প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয় শুধুমাত্র সমোসার কারণে। এখন সমোসার ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক স্টার্টআপও শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি ভারতে তৈরি হিমায়িত সামোসা বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।