সাজিয়ে গুছিয়ে ঘরবাড়ি যতই সুন্দর রাখুন না কেন, আরশোলা, টিকিটিকির (lizard) থেকে মুক্তি পাওয়ায় বড়ই কঠিন। সবকিছু পরিস্কার থাকলেও, দেখবেন তার মধ্যে থেকেই কখনও বেরিয়ে আসছে আরশোলা, আবার কখনও বা টিকটিকি। এদিকে টিকটিকি আবার মানুষের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক এবং ক্ষতিকারোক। তাই এসবকে তো আর অবজ্ঞা করা যায় না। টিকটিকিত জ্বালায় অস্থির হলে দেখে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকা, যা একবার ব্যবহার করলে এই টিকটিকির উৎপাত থেকে মুক্তি পাবেন নিমেষেই।
ন্যাপথলিন (Naphthalene): পোকামাকড়ের মতই ন্যাপথলিনের উগ্র গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না টিকটিকি। তাই জামাকাপড়ের ভাঁজে রাখার পাশাপাশি ঘরের বিভিন্ন কোণায় ছড়িয়ে দিন ন্যাপথিল। ফল মিলবে হাতেনাতে।
ডিমের খোসা (egg shell): ঘরের মধ্যে বা রান্নাঘরের এমন জায়গায় যেখানে টিকটিকির (lizard) অবাধ বিচরণ, ডিম ফাটিয়ে সেটার খোসা সেই জায়গায় রেখে দিন। দেখবেন লেজ গুটিয়ে পালাবে টিকটিকি। কারণ ডিমের খোসাকে শিকারী বলে মনে করে টিকটিকি। ৩-৪ সপ্তাহ অন্তর ডিমের খোসা বদলে দিয়ে আবার নতুন করে রাখুন, পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
পেপার স্প্রে (Paper spray): সামান্য জল এবং গোলমরিচ ভালো করে মিশিয়ে ফ্রিজ এবং সোফার পিছনে, দেয়ালে এবং যে কোনও জায়গাতে স্প্রে করে দিয়ে দেখুন, এই ঝাঁজালো গন্ধে ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবে না টিকটিকি।
রসুন (garlic): রসুনের এই তীব্র গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না টিকটিকি। তাই রান্নাঘর কিংবা ঘরের বিভিন্ন অংশে যদি রসুন রেখে দেন, তাহলে টিকটিকি পালাবে আপনার বাড়ি থেকে।
পেঁয়াজ (onion): রসুনের মতো পেঁয়াজের গন্ধও একদমই সহ্য করতে পারে না টিকটিকি। তাই ঘরের মাঝে কিংবা যেখানে টিকটিকির অবাধ বিচরণ রয়েছে, সেই জায়গায় পেঁয়াজ দুই টুকরো করে রেখে দিলে পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
ফ্লাইপেপার (Flypaper): বাড়্র যে অংশে বেশি আলো দেখা যায়, পোকামাকড় সেই অংশেই বেশি দেখা যায়। তাই আলোর কাছে ফ্লাই পেপার রেখে টিকটিকি (lizard) ধরতে পারেন।