গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য কেরেলা স্টোরি’ (The kerala story) ছবিটি নিয়ে বিতর্ক রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি সহ সমস্ত বড় নেতারা বিবৃতি দিয়েছেন। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানা রাজ্যগুলিতে যেখানে এটি করমুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ ও কর্ণাটকে এর স্ক্রিনিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিদেশি মিডিয়া বিশেষ করে মুসলিম দেশের মিডিয়ায় ছবিটি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
কেরালা স্টোরি হল সেই মেয়েদের গল্প যারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের ধর্ম পরিবর্তন করার পর কেরালা থেকে নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ। ছবিটির ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। ট্রেলার অনুসারে, ছবিটি ‘হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা এবং তারপর তাদের আইএসআইএসের সাথে যুক্ত করার’ গল্প।
এতে দাবি করা হয়েছে, কেরালার ৩২,০০০ হিন্দু মেয়েকে প্রলুব্ধ করে আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। যাইহোক, কেরালা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরে, ট্রেলার থেকে ৩২০০০ মেয়ের চিত্রটি সরানো হয়েছিল, এবং তিনটি মেয়ের সত্য ঘটনা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। মুসলিম দেশগুলোতেও ছবিটি নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে এবং সেখানকার মিডিয়াতেও এই নিয়ে বিতর্ক চলছে।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে লিখেছে যে, ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করেছে। ‘দ্য কেরালা স্টোরি নামের ফিল্মটিতে দাবি করা হয়েছে যে কেরালার ৩২০০০ হিন্দু এবং খ্রিস্টান নারী ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছেন এবং কয়েকজনকে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটে নিয়োগ করা হয়েছে।
সমালোচকরা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এবং অশান্তি প্রচারের লক্ষ্যে মিথ্যা ছড়ানোর জন্য ছবিটিকে অভিযুক্ত করেছেন। কিন্তু ছবিটিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমর্থন করেছেন, এবং হিন্দু মৌলবাদীরা ছবিটিকে ন্যায্যতা দিয়েছেন। পাকিস্তানের আরেকটি বড় সংবাদপত্র ছবিটি নিয়ে তাদের একটি সংবাদের শিরোনাম দিয়েছে। লিখেছে, ‘মুসলিমদের লক্ষ্য করে আরেকটি ভারতীয় প্রচারমূলক চলচ্চিত্র- এবার কেরালার গল্প’।