আম্বানি পরিবার শুধু ভারতবর্ষেই নয়, গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত। আর এই পরিবারের প্রথম উজ্জ্বল নক্ষত্র ‘ধীরুভাই আম্বানি’, যার পুরো নাম রাজলাল হীরাচাঁদ আম্বানি। ধীরুভাই ১৯৩২ সালের ২৮শে ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে একটি ছোট ফার্ম শুরু করেন তিনি। তার ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমে গড়ে তুলেছিলেন এক বিরাট সাম্রাজ্য। তার অসাধারণ ব্যবসায়িক ধারণায় প্রতিষ্ঠিত হয় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Relaince Industry)।
তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি বছরের পর বছর ধরে ব্যবসার জগতে নিজের জন্য একটি বিশেষ স্থান তৈরি করেছে। এবং রয়ে গেছে বৃহত্তম বহুজাতিক কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। দেশের সবচেয়ে ধনী পরিবারের গল্পটি একটি ছোট গ্রাম থেকে বিশ্বব্যাপী প্রভাবিত। তার জীবনের যাত্রা বেশ আকর্ষণীয়। এই যাত্রা সম্পর্কে জানতে হলে, গুজরাটে আম্বানি পরিবারের শত বছরের পুরনো পৈতৃক বাড়িটি প্রথমে দেখতে হবে।
এটি এখন ধীরুভাই আম্বানি মেমোরিয়ালে রূপান্তরিত হয়েছে এবং আম্বানি পরিবারের সাথে সম্পর্কিত প্রদর্শনী রয়েছে। আমরা সবাই ধীরুভাই আম্বানির জীবনের গল্প অনেক শুনেছি। এমনকি অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন অভিনীত মণি রত্নমের চলচ্চিত্র ‘গুরু’ তার জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল। এবং ধিরুভাই এর স্ত্রী কোকিলা বেনে’র ভূমিকাও অনেক এই বাড়িতে।
ধীরুভাই আম্বানির স্ত্রী কোকিলা বেনও প্রায় আট বছর এই বাড়িতে কাটিয়েছেন। বিয়ের পর ধীরুভাই কোকিলা বেনকে এই বাড়িতে নিয়ে আসেন। ধীরুভাই কাজের জন্য ইয়েমেন চলে যাওয়ার পর প্রায় আট বছর এই বাড়িতে থাকতেন কোকিলা বেন। পরে কোকিলা বেন তার স্বামীর স্মরণে চোরওয়াদা গ্রামের এই পৈতৃক বাড়িটি ধিরুভাই আম্বানি মেমোরিয়াল তৈরি করেন।
ধীরুভাই আম্বানি মেমোরিয়াল হাউসটি প্রায় ১০০ বছরের পুরানো। এবং এটি সংস্কার করার সময় সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাড়ির মূল নকশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজটি তৈরী করা। ভবনটি দুটি অংশে বিভক্ত, যার একটি অংশ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য, যেখানে কোকিলা বেন আম্বানি আজও যান। অন্যদিকে, বাড়ির বাকি অংশ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। এবং একটি পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রয়েছে।
ধীরুভাই আম্বানি যখন রিলায়েন্স গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন তখন ভারতীয় টেক্সটাইল বাজারে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। ধিরুভাই আম্বানি মেমোরিয়াল হাউস হল তাঁর পৈতৃক বাড়ি, যা ‘ধীরুভাই আম্বানি ফাউন্ডেশন’ দ্বারা পরিচালিত হয়। রিপোর্ট অনুসারে, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইনটি ‘অমিতাভ তেওয়াটিয়া ডিজাইনস’ দ্বারা করা হয়েছিল।