সমাজে এখনও ছেলে মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করেত দেখা যায়। কিছু মানুষ এখনও সেই কুসংস্কারের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পুরনো দিনের মানসিকতা নিয়েই বেঁচে আছেন। তবে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে আজমেরে জেলা আধিকারিক পদে নিযুক্ত হলেন মাত্র তিনফুটের আরতি ডোগরা (Arti Dogar)। সমাজের প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরানোর পাশাপাশি নিজের শারীরিক সমস্যাকেও হার মানিয়ে জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছেন আরতি।
মাত্র তিন ফুটের এই মহিলা নিজের ক্ষমতার দ্বারা বর্তমান সমাজের মানুষদের হার মানিয়ে দিতে পারে। সারা বিশ্বের কাছে একজন ইনস্পিরেশন হিসাবে পরিচিত পেয়েছেন এই আরতি। মাত্র তিন ফুট ছয় ইঞ্চির আরতি ২০০৬ সালে IAS অফিসার হয়েছিলেন।
আরতির জন্মের পর চিকিৎসকরা তাঁর পরিবারকে জানিয়েছিল, প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কম হওয়ায় এই মেয়ের উচ্চতা খুব বেশি হবে না। আজকের দিনে সেই মেয়ে মহিলা IAS আধিকারিকদের রোল মডেল হিসাবে পরিচিত হয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা আরতি এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনেক স্নেহধন্যাও।
সমাজ তাঁকে বাঁকা চোখে দেখলেও, আরতির বাবা মা কখনই তাঁকে পৃথক করে দেখেনি। আর পাঁচটা বাচ্চার মত করেই তাঁকে মানুষ করেছেন, দিয়েছেন ভালোবাসা, বানিয়েছেন স্বাবলম্বী। এই সময়ে গোটা মানুষ তাঁকে অনেক সম্মানের চোখে দেখে এবং তিনি কোন মানুষকেই খারাপ চোখে দেখে না।
তিনি নিজে সমাজের থেকে যে ব্যবহার পেয়েছেন, অন্য কেউ সেই বঞ্চনার শিকার হোক, তিনি সেটা নিজেও চান না। সেই কারণে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সেইসকল মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আরতি। হয়ে উঠেছেন মহিলা IAS আধিকারিকদের রোল মডেল।
Arti Dogar ias office pic.twitter.com/klM60vMe2S
— Viral Story (@ViralStory1) April 2, 2023
জানিয়ে রাখি, আরতির বাবা রাজেন্দ্র ডোগরা সেনার একজন অফিসার এবং তাঁর মা কুমকুম ডোগরা একজন স্কুল শিক্ষিকা। আরতির জন্মের সময় চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা জানালেও, হার মানেনি তাঁর বাবা মা। তাঁরা কোনভাবেই আরতির পড়াশোনা নিয়ে কম্প্রোমাইজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল না। আরতিতে সাধারণ বাচ্চাদের মত করেই দেরাদুনের বেলহাম গার্লস স্কুলে ভর্তি করেন তাঁরা। স্কুল শেষ করে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে ইকোনমিক্সে গ্রাজুয়েশন করে UPSC Indian Administrative Service এর প্রস্তুতি নিয়ে আজকের দিনে IAS অফিসার হয়ে দেখিয়েছেন আরতি।