Skip to content

বন্ধুর জীবন বাঁচাতে মরিয়া! ১০ দিনে জোগাড় ৪০ লাখ টাকা, রইলো বন্ধুত্বের এক অনন্য কাহিনী

    img 20230113 151925

    বন্ধুত্ব (Friendship) আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ও পবিত্র সম্পর্ক। যেখানে একে অপরের প্রতি সবসময় হৃদয় ভরা ভালবাসা থাকে। একজন সত্যিকারের বন্ধুকে কঠিন সময়ে স্বীকৃতি দেওয়া এবং প্রতিকূল সময়েও তার বন্ধুকে ছেড়ে না যাওয়াই হল ভালো ও প্রকৃত বন্ধুর পরিচয়। বন্ধুত্বের এমনই এক অসাধারণ গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হচ্ছে, যা অন্যদের জন্য বড় উদাহরণ ও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

    img 20230113 152145

    সম্প্রতি, গ্রেটার নয়ডার কিছু বন্ধু তাদের এক বন্ধুর জীবন বাঁচাতে দিনরাত পরিশ্রম করে মাত্র ১০ দিনে ৪০ লাখ টাকার ব্যবস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, বন্ধুর জীবন বাঁচাতে পরীক্ষার প্রস্তুতিও ছেড়ে দেন তারা। প্রকৃতপক্ষে, ‘সুইটি’ (Sweeti) একজন B.Tech ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী, সেক্টর ২ ডেল্টার কাছে একটি সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়, তারপরে তাকে চিকিৎসার জন্য কৈলাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    সুইটির চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সুইটির চিকিৎসার জন্য এত বড় অঙ্কের ব্যবস্থা করতে পারেনি তার পরিবার। এই কঠিন সময়ে সুইটির কলেজের ৮ বন্ধু আশির্বাদ মণি ত্রিপাঠী, আদর্শ সিং, করণ পান্ডে, অনুভব যাদব, চন্দন সিং, রাজমণি, প্রতীক, শুভম এবং রাজ শ্রীবাস্তব মশীহা হয়ে এগিয়ে আসেন।

    তারা সুইটির পরিবারকে তাদের বন্ধুর চিকিৎসার জন্য যথাযথ সাহায্য ও অর্থের ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দেন। সুইটির এই সব বন্ধুরা মিলে প্রথমে এক লাখ টাকা জোগাড় করে, যাতে সুইটির চিকিৎসা শুরু করা যায়। এরপর চিকিৎসায় ব্যয়িত অর্থের জন্য দিনরাত এক করেছেন তারা। শুধু তাই নয়, তারা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ছেড়ে দিয়ে তার বন্ধুকে সাহায্য করার জন্য ঝাঁপিয়ে পরে।

    সুইটির ছবি এবং তার বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল করেছিলেন, এবং সাহায্যের জন্য লোকদের অনুরোধ করেছিলেন। এইভাবে, আট বন্ধু মিলে ১০ দিনের মধ্যে তাদের বন্ধুত্বের জন্য ৩০ লাখ টাকার ব্যবস্থা করে। শুধু তাই নয়, পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মী সিং সুইটিকে সাহায্য করার জন্য পুলিশ বিভাগের সহায়তায় ১০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন।

    এভাবে সুইটির চিকিৎসা করা হয়েছে এবং এখন তার অবস্থার বেশ উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে তাকে আইসিইউ ওয়ার্ড থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। সুইটি বন্ধুদের সাহায্যের জন্য সমস্ত বন্ধুদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেছিলেন যে, ‘তিনি এমন বন্ধুদের জন্য গর্বিত’। একই সময় তার বন্ধুরা জানান, ‘পরীক্ষার চেয়ে তাদের ভালো বন্ধু সুইটিকে নিয়ে বেশি চিন্তিত, আবার পরীক্ষা দেওয়া যাবে, কিন্তু সুইটির চিকিৎসায় অবহেলা করা যাবে না’। সুইটিকে সাহায্য করে তারা তাদের বন্ধুত্বের এক মহান দায়িত্ব পালন করেছে।