Skip to content

চোখের সমস্যা মুক্তি থেকে ওজন কমানো, এই বিশেষ ৫ টি উপকারী ক্ষমতা রয়েছে কারি পাতার, রইল বিস্তারিত

    লোভনীয় এবং সুস্বাদু খাবারের দিক থেকে ভারতীয়রা বেশকিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। কিভাবে খাবারের স্বাদ বাড়ানো যায়, কি মশলা যোগ করলে খাবারে স্বাদের পাশাপাশি থাকবে উপকারীতাও- এসব নিয়ে একটু বেশিই ভাবনা চিন্তা করে থাকে ভারতীয়রা।

    তবে এসবের মধ্যে কারি পাতা (cury leaf) কিন্তু বেশ উপকারী একটি উপাদান, যা ভারতীয়রা প্রায়ই রান্নায় ব্যবহার করে থাকেন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের মধ্যে কারি পাতার (cury leaf) ব্যবহার বেশি পরিমাণে করা হয়ে থাকে। খাবারের স্বাদ এবং সুগন্ধ এবং উপকারিতা বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে কারি পাতা।

    বিজ্ঞান বলছে, কারি পাতায় থাকে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। আর তাই কারি পাতা (cury leaf) আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

    সুগার সমস্যার সমাধান- কারি পাতায় হাইপোগ্লাইসেমিক থাকে, যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সেই কারণে সুগার রোগীদের কাছে এই পাতা খুবই উপকারী।

    চোখের রোগ থেকে মুক্তি- কারি পাতা চিবিয়ে খেলে, রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখের যে কোন রোগ উপশম করতে পারে। আবার দৃষ্টিশক্তিও বাড়াতে সক্ষম এই পাতা। সেই কারণে এই সহজলভ্য পাতা খেতে পারলে, চোখের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে- অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে কারি পাতায়। সেই কারণে অনেকে এটি খাবারের সঙ্গে খেয়ে থাকে। যাতে করে অনেক সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে- বর্তমান দিনে শরীরের ওজন নিয়ে চিন্তিত সকলেই। সকলেই চান স্লিম এবং ফিট থাকতে। সেক্ষেত্রে যদি কারি পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে ওজন ও পেটের চর্বি কমে যায়। এই পাতায় ইথাইল অ্যাসিটেট, ডাইক্লোরোমেথেনের মতো পুষ্টি থাকার কারণে মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে কারি পাতা।

    হজমে উপকারী- সকালে উঠে খালি পেটে কারি পাতা খেলে, পরিপাকতন্ত্রকে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির মতো পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।