বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসাবে পরিচিত লাভ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার (Sachin Tendulkar)। কিছুদিন পরই, অর্থাৎ আগামী ২৪ শে এপ্রিল ৪৯ বছর শুরু করবেন এই ক্রিকেট তারকা। ইতিমধ্যেই একাধিক রেকর্ডের পাশে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের নাম।
জানিয়ে রাখি, মাত্র ১৬ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। এরপরই ধীরে ধীরে ক্রিকেট দুনিয়ায় নিজের খ্যাতি অর্জন করতে থাকেন এই ক্রিকেটার। তবে ২০১৩ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে খেলার দুনিয়া থেকে অবসর নেন শচীন টেন্ডুলকার।
১৯৭৩ সালে মুম্বাইয়ের দাদরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। তাঁর বাবা রমেশ টেন্ডুলকার ছিলেন একজন মারাঠি ঔপন্যাসিক এবং কবি। অন্যদিকে শচীনের মা রজনী একটি বীমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ভাই অজিত টেন্ডুলকারের সমর্থনে ক্রিকেট দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। তবে পরবর্তীতে গুরু রমাকান্ত আচরেকারের সান্নিধ্যে থেকে ক্রিকেটের খুঁটিনাটি বিষয় জানতে শুরু করেন।
১৯৮৮ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারী হ্যারিস শিল্ডের সেমিফাইনালে তৃতীয় উইকেটে বিনোদ কাম্বলির সাথে একটি অপরাজিত ৬৬৪ রানের জুটি গড়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। এই খেলায় কম্বলি ৩৪৯ রান করলেও, শচীন করেছিলেন ৩২৬ রান। রেকর্ড গড়েছিলেন তাঁরা দুজনে।
এরপর ১৯৮৯ সালের ১৫ ই নভেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করাচি টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে ব্যাট ধরেন তিনি। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। করে গিয়েছেন একের পর এক রেকর্ড। যার কারণে আজও ক্রিকেট দুনিয়া শচীনের নামে জয়ধ্বনি দেয়।
এরপর কেরিয়ারের মাঝে ১৯৯৫ সালের ২৪ শে মে অঞ্জলি টেন্ডুলকারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শচীন টেন্ডুলকার। তাঁর থেকে বছর ছয়ের বড় অঞ্জলি পেশায় একজন শিশু বিশেষজ্ঞ। এরপর ১৯৯৯ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে শচীনের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকারের জন্ম হয়। বাবার মত ছেলেও ক্রিকেট খেলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে অর্জুন বাম হাতে বোলিং এবং ব্যাট করেন।
শচীন টেন্ডুলকার এবং সৌরভ গাঙ্গুলী ওডিআই ক্রিকেটে অনেক ম্যাচে ভারতীয় দলকে দুর্দান্ত সূচনা দিয়েছেন। বীরেন্দ্র শেবাগের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশের পর, গাঙ্গুলি ওপেনিংয়ের পরিবর্তে মিডল অর্ডারে খেলতে শুরু করে। ১০ ই ডিসেম্বর ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে শচীন টেন্ডুলকার তাঁর রেকর্ড ভেঙেছিলেন। জানিয়ে রাখি, লন্ডনের মাদাম তুসো মোম মিউজিয়ামে ভারতরত্ন শচীন টেন্ডুলকারের একটি মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে। শচীন টেন্ডুলকারের এই মোমের মূর্তি দেখতে হুবহু তাঁর মতোই।