প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার জীবনে আচার্য চাণক্যের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। তিনি মানুষকে দক্ষ জীবন যাপনের জন্য অনেক নীতি দিয়েছেন। তিনি চাণক্য নীতিতে বহু প্রাণীর গুণের কথাও উল্লেখ করেছেন। চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে যে, প্রতিটি প্রাণী থেকে মানুষকে কিছু শিক্ষা নিতে হবে। চাণক্য নীতি অনুসারে নারীদের কাকের মতো এবং পুরুষদের কুকুরের মতো সতর্ক থাকতে হবে। এটাও বলা হয়েছে যে একজন ব্যক্তি যদি কুকুরের ৪টি গুণ অবলম্বন করেন তবে তার স্ত্রী সর্বদা খুশি থাকবেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
একজন মানুষের উচিত তার পূর্ণ পরিশ্রম করা এবং যেটুকু পাওয়া যাবে তাই নিয়ে খুশি থাকার চেষ্টা করা। ঘরের খরচ নিজের জীবিকা থেকে নির্বাহ করতে হবে। যে পুরুষরা এটা করে তারা সবসময় সফল হয়। এই গুণটি সবসময় কুকুরের মধ্যে দেখা যায়। আপনি তাদের যা কিছু দেবেন, তারা তাই খেয়েই খুশি।
যে কোন মানুষকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। যাতে তারা তাদের বাড়ি এবং স্ত্রীর সঠিক যত্ন নিতে পারে। আপনি সবসময় সতর্ক থাকলে আপনার শত্রুও আক্রমণ করতে ভয় পাবে। এই গুণটি সবসময় কুকুরের মধ্যে দেখা যায়। সামান্য শব্দ হলেই কুকুর ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং সতর্ক হয়ে যায়। এই গুণের অধিকারী পুরুষের সাথে স্ত্রীরা সর্বদা খুশি থাকে।
যখনই আনুগত্যের কথা বলা হয়, কুকুরের কথা অবশ্যই উল্লেখ করা হয়। কুকুরের মত অনুগত কোন প্রাণী নেই। কুকুরের মতো, পুরুষদের সর্বদা অনুগত হওয়া উচিত। সর্বদা তাদের স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকার সময় পুরুষদের কখনই অন্য মহিলার কথা চিন্তা করা উচিত নয়। যে সব পুরুষ এটা করে তারা কখনই তাদের স্ত্রীকে রাগান্বিত করতে পারে না।
কুকুরকে সবসময় সাহসী প্রাণী বলা হয়। সে তার মনিবের জন্য যে কারো সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। মনিবকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজের জীবনেরও পরোয়া করে না। তেমনি একজন মানুষকেও সবসময় সাহসী হতে হবে। কোন অবস্থাতেই আপনার স্ত্রীকে একা রেখে যাওয়া উচিত নয়। যে সব ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গ ছাড়ে না, তাদের স্ত্রীরা খুব ভালোবাসে।