একজন পুরুষের পক্ষে নিজের কেরিয়ার তৈরি করার বিষয়টা যতোটা সহজ, একজন নারীর পক্ষে কখনই তা একেবারে সহজ পথ হয় না। বিয়ের আগে মেয়েদের জীবনটা একরকমভাবে চলে, আবার বিয়ের পর জীবন চলে অন্যছন্দে। আর বিয়ের পর নিজের কেরিয়ার তৈরি করা, খুব কম মেয়ের ভাগ্যেই সেই সুখ জোটে।
সবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন সমান হয় না। কেউ সেই সুযোগটা পেয়ে নিজের নিজের পথে এগিয়ে যায়, আবার কেউ সেই সুযোগটা পাওয়ার অপেক্ষায় গোটা জীবনটাই অতিবাহিত করে দেয়। তবে এই ঘটনা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেব তারকাদের মধ্যেও দেখা যায়। এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন, যারা বিয়ের পর বিনোদন জগতে ফিরে আসতে চাইলেও, তাঁদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের এই বিষয়ে সমর্থন করেনি। আবার এমন অনেকেই আছেন, যারা নিজের পরিচয় তৈরির জন্য ছেড়েছেন স্বামীর ঘরও।
ডিম্পল কাপাডিয়া (Dimple Kapadia)- ১৯৭৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বলি অভিনেতা রাজেশ খান্নাকে বিয়ে করার পর আর সিলভার স্ক্রিনে দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে। কারণ পুরুষদের সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করার বিষয়টা তাঁর পরিবারের লোকজন মেনে নিতে পারেননি। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে রাজেশ খান্নার সঙ্গে ডিভোর্সের পর আবারও বিটাউনে ফিরে আসেন এই অভিনেত্রী।
রাখি গুলজার (Rakhee Gulzar)- এই তালিকায় রয়েছেন বলি অভিনেত্রী রাখি গুলজারও। ১৯৬৩ সালে অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিবাহের পর, সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের এই খ্যাতনামা অভিনেত্রীর বিয়ের দুবছর পর ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর চলচ্চিত্রে আসেন এবং ১৯৭৩ সালে বলিউডের বিখ্যাত লেখক গুলজারের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহিত জীবন শুরু করেন।
মল্লিকা শেরাওয়াত (Mallika Sherawat)- ‘মার্ডার’ ছবির হাত ধরে ক্যারিয়ার শুরু করা মল্লিকা শেরাওয়াতও ডিভোর্সের পরই অভিনয় দুনিয়ায় সাফল্য পান। চলচ্চিত্রে যোগ দেওয়ার আগে তিনি করণ গিল নামে একজনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁর অভিনয় জীবনটাকে মেনে নিতে পারেনি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের এক বছর পর স্বামীকে ছেড়ে বলিউডে হিট হন এই অভিনেত্রী।