Business Idea: সারা বিশ্বে কফি’র (Coffe) ব্যবহার দিন দিন খুব বাড়ছে। কফি রপ্তানির ক্ষেত্রেও ভারত ২০২২ সালে অনেক রেকর্ড ভেঙেছে। বিশ্বে ইনস্ট্যান্ট কফির ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে ভারত কফি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কফি চাষের মাধ্যমে বাম্পার আয় করা যায়। এটি একটি অর্থকরী ফসল। এতে লাভ অনেক বেশি। ভারতে, এটি প্রধানত দক্ষিণের পার্বত্য রাজ্যে চাষ করা হয়। কফি উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ৬টি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত। কেরালা, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু ভারতের এই রাজ্যগুলোতে কফি সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়।
ভারতে কফির গুণমান সেরা বলে বিবেচিত হয়। গত বছর ভারত ৮ লাখ টনের বেশি কফি রপ্তানি করেছে। কফির সবচেয়ে বেশি চাহিদা এসেছে রাশিয়া ও তুরস্ক থেকে। ভারত তার রপ্তানি থেকে ১.১১ বিলিয়ন আয় করেছে। চালান এবং পরিমাণ উভয় দিক থেকেই ভারত আগের চেয়ে বেশি কফি রপ্তানি করেছে। চায়ের মতো ভারতে কফি পানকারীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে।
দেশে অনেক জাতের কফি জন্মে। কেন্ট কফিকে ভারতের প্রাচীনতম কফি বলে মনে করা হয়। কেরালায় এর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি। এরপর আরবিকা কফিকে উচ্চ মানের কফি বলে মনে করা হয়। এর উৎপাদনও শুধুমাত্র ভারতেই হয়। এছাড়াও ভারতে আরও অনেক জাতের কফি চাষ হয়। খোলা ও গরম রোদেলা জায়গায় কফি চাষ এড়িয়ে চলতে হবে। এর চাষ শুধুমাত্র ছায়াময় জায়গায় ভালো ফলন দেয়। কফি চাষে বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না।
এর জন্য নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু সবচেয়ে ভালো। তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি পর্যন্ত সেরা বলে মনে করা হয়। যাইহোক, এর ফসল গ্রীষ্ম মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি এবং শীতকালে সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। প্রচন্ড শীতে এর চাষ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দোআঁশ মাটিতে কফির উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়। এর বীজ বপনের জন্য জুন থেকে জুলাই মাস শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়।
একবার কফি ফসল রোপণ করা হলে, এটি বছরের পর বছর ধরে ফলন দেয়। অনুমান অনুসারে, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে এর ফসল থেকে কফির বীজ উৎপন্ন হয়। এক একর জমিতে প্রায় ২.৫ থেকে ৩ কুইন্টাল কফির বীজ উৎপন্ন হয়। এমতাবস্থায় চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে বাম্পার আয় করতে পারেন।