খুব শীঘ্রই ভারতের (india) মুকুটে জুড়তে চলেছে আরও এক উন্নতির পালক, দ্রুতই ভারতে চালু হতে চলেছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। মুম্বাই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সব ধরনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই পরিস্থিতিতে মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadanavis)।
জানিয়ে রাখি, বেশ কয়েকবছর আগে এই বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (Shinzo Abe) এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) মিলিতভাবে আহমেদাবাদে (Ahmedabad) বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। দেশের অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনের গতি অনেকটাই বেশি থাকবে। আর সেই কারণেই এই ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। জানা গিয়েছে, এই ট্রেন্র অত্যাধিক গতির কারণে দুঘন্টায় ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব হবে।
খরচের বিষয়ে জানা গিয়েছে, এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য আনুমানিক ব্যয়ের একটা হিসাব দেওয়া হয়েছে প্রায় ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা। তবে এত টাকা শুধুমাত্র ভারতের সরকারী কোষাগার থেকে খরচ হবে না। এর মধ্যে আবার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিও (JICA) ৮৮,০০০ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করছে।
এই প্রকল্প প্রসঙ্গে এক বৈঠকের পর ফড়নবিশ জানান, ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ৭০ শতাংশ জমি থানে এবং পালঘর জেলায় অধিগ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। নাগপুর শহরের মধ্যে একটি উচ্চ-গতির ট্রেন করিডোর তৈরি করার জন্য রেল মন্ত্রকের কাছে আবেদন করলেও, পূর্ববর্তী মহা বিকাশ আঘাদি (MVA) সরকার এই প্রকল্পটি ত্বরান্বিত করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তবে মুলতুবি বিষয়গুলি বন ছাড়পত্র এবং জমি অধিগ্রহণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে প্রকল্পের সমস্ত ধরণের অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।