মাছ বলতেই আমরা বুঝি ৭ টি পাখনা এবং লেজ বিশিষ্ট জলজ একটি প্রাণী, যা মানুষ ভক্ষণ করে থাকে। মিষ্টি এবং নোনা জল উভয় জায়গাতেই মাছ দেখতে পাওয়া যায়। অনেক মানুষ এই মাছ ধরে এবং তা বিক্রি করেই নিজেদের জীবনযাত্রা অতিবাহিত করে। আবার জেলেরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মাছ সমুদ্রে গিয়ে ট্রলারে করে মাছ ধরে নিয়ে আসে। তবে এই মাছ ধরতে গিয়ে মাছে মধ্যে কিছু বিরল অথবা দামী মাছ উঠে আসে জেলেদের জালে। আর সেই মাছ দেখার জন্য ভিড় উপছে পড়ে। আর সেই বহুমূল্যবান মাছ বিক্রি করেও, বেশকিছুটা অর্থের মুখ দেখতে পায় জেলেরা।
তবে এক জীবনে মানুষের পক্ষে সবকিছু দেখা তো সম্ভব হয় না। এই পৃথিবীতে নানা ধরনের প্রাণী রয়েছে। আবার মাছের মধ্যেও নানারকম প্রজাতি রয়েছে। তবে সব প্রজাতির মাছ তো আর মানুষ চোখের সামনে দেখতেও পায় না, আবার সব ধরনের মাছ খাওয়ার উপযোগীও হয় না। তবে বর্তমান সময়ে এম এক বিশেষ ধরনের মাছের দেখা মিলেছে, যা বিরল। ইচ্ছে থাকলেও, এই মাছের দর্শন পাওয়া যায় না। কারণ, এটি বর্তমানে বিরল প্রজাতির একটি মাছ।
এই বিরল প্রজাতির মাছের নাম হল ব্লচড স্নেলফিশ (Bleached snailfish)। যা দেখতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছেন বিজ্ঞানীরাও। এই মাছের সবথেকে বড় আকর্ষণ হল, এই মাছ দেখতে আর পাঁচটা মাছের থেকে পুরো ভিন্ন হয়। এই মাছ এতোটাই স্বচ্ছ হয়, যা হাতের তালুতে রাখলে, মাছ ভেদ করে আপনি আপনার হাতের তালু পর্যন্ত দেখতে পাবেন। আর সেই কারণেই এই মাছ দেখার এত হিড়িক পড়েছে।
এই ব্লচড স্নেলফিশ (Bleached snailfish) মাছের শরীরে মাংস থাকলেও, তা এতোটাই স্বচ্ছ যে আপনি আপনার হাত দেখতে পারবেন। আর সেই সঙ্গে মাছটির সারা শরীরে হাল্কা গোল গোল দাগ দেখা যায়। এমন শরীর হওয়ার কারণে সহজেই শত্রুর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে এই মাছ। কারণ এতোটাই স্বচ্ছ এই মাছ, যে কারণে জলের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারে।
জানিয়ে রাখি, একদল বায়োলজিস্ট আলাস্কার (alaska) কাছে সমুদ্রে মাছের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলেন। আর সেই সময় সেই বিজ্ঞানীদের দলের চোখে পড়ে এই ব্লচড স্নেলফিশ (Bleached snailfish) মাছ। আর চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা এই মাছ তুলে ভালো করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। সবার কপালে এই মাছের দর্শন থাকে না।