স্মার্টফোন আসার আগে মোবাইলের জগতে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছিল “নোকিয়া” (Nokia)। বাজারে অ্যান্ড্রয়েড আসার পর সেই রাজত্ব হারিয়ে যায় নোকিয়ার কাছ থেকে। নোকিয়া, গত রবিবার ঘোষণা করেছে যে ব্র্যান্ডটি প্রায় ৬০ বছরে প্রথমবারের মতো তার ব্র্যান্ড পরিচয়ে একটি বড় পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে। পরিবর্তন হতে চলেছে নোকিয়ার লোগো’রও। কারণ টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা আক্রমনাত্মক বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করছে৷
নোকিয়া, আগে নীল রঙের যে লোগোটি ব্যবহার করত, তা এবার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। নতুন লোগোটিতে দেখা যাচ্ছে, পাঁচটি আলাদা আলাদা আকার মিলে তৈরি হচ্ছে নোকিয়া শব্দটি। নোকিয়ার চিফ এগজিকিউটিভ পেক্কা লান্ডমার্ক জানিয়েছেন, এখন নোকিয়া একটি বিজনেস টেকনোলজি সংস্থা। এই ধারণাকে কেন্দ্র করে আবার আগের জায়গায় ফিরতে পারে নোকিয়া।
নোকিয়া প্রায় ৬০ বছর পর কোম্পানির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তার ব্র্যান্ড পরিচয়কে নতুন করে পরিবর্তন করেছে। নোকিয়া হল একটি ফিনিশ বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা, ফিনল্যান্ডের এসপুতে ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। নোকিয়া ১১০০ ভারতে তার সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফোন ছিল স্মার্টফোনের আবির্ভাবের আগে একটি উল্লেখযোগ্য বাজার শেয়ারের সাথে। এটি তার স্থায়িত্ব এবং দৃঢ়তার জন্য পরিচিত ছিল।
অন্যরা যখন স্মার্টফোনের জন্য গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের দিকে যাচ্ছিল তখন নোকিয়া একটি ভিন্ন পথে চলেছিল। কিন্তু পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। একসময় যথেষ্ট বাজার শেয়ার সহ একটি জনপ্রিয় ফোন ব্র্যান্ড, স্যামসাং এবং অন্যান্য চীনা ব্র্যান্ডের উত্থানে নোকিয়া বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যর্থ হয়। এর মার্কেট শেয়ার ক্রমাগত সংকুচিত হতে থাকে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ২১ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে সংস্থার। ইতিমধ্যেই 5G পরিষেবা ভারতে শুরু হয়েছে। সেই কারণে দেশে টেলিকমের চাহিদা বাড়ছে। বহু প্রযুক্তি ফার্ম ইতিমধ্যে নোকিয়ার সঙ্গে জোট বেঁধেছে। একসময় শীর্ষে থাকা কোম্পানি তার নিজের জায়গায় ফিরে পেতে ব্যর্থ হয়েছে বহুদিন যাবত। এখন দেখার বিষয় আগামীতে কতটা জায়গা দখল করতে পারে নোকিয়া।