এই পৃথিবীতে কত রকমের প্রাণী রয়েছে তা মানুষেরও অজানা। এক জীবনে সব দেখা সম্ভবও নয় মানুষের পক্ষে। জল, স্থল এবং আকাশ- এই তিন ভাগে মানুষের নানাধরনের অজানা বিষয় রয়েছে। এই সকল অজানা বিষয় মানুষের পক্ষে একজন্মে সব জেনে ওঠাও সম্ভব নয়।
তবে এইসকল প্রাণীকূলের মধ্যে সাপকে (snake) অনেক মানুষই ভয় পেয়ে থাকে। সাপকে ভয় পায় না এমন মানুষ বোধ করি খুঁজে পাওয়া দুস্কর। মহাদেব শিবের গলায় থাকলেও, এই প্রাণীকে সমঝে চলে অনেক মানুষ। ধারে কাছে সাপ দেখলেই মানুষ উল্টোদিকে ছুটে পালিয়ে যায়। সেইসঙ্গে করতে থাকেন ভগবানের নাম জপ।
এবার ধরুন আপনার সামনে রয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় সাপ, আর আপনার কাছে পালানোর কোন সুযোগ নেই। তখন আপনি কি করবেন? ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছিল ভিডিওগ্রাফার এবং ডুবুরি বার্টোলোমিউ বোভের (Bartolomeo Bove) সঙ্গে, যিনি ন্যপ্রাণীর কাছাকাছি এবং সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার জলাভূমি এবং ঘোলাটে স্রোত পরিদর্শন করে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জীবন্ত সাপ গ্রিন অ্যানাকোন্ডাকে নিয়ে সাঁতার কাটা এবং শ্যুট করার জন্য তিনি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। ব্রাজিলের ফরমোর্সো নদীর জল ভীষণই পরিস্কার। এই জলে ডুবুরিরা স্বাচ্ছন্দ্যে সাঁতার কাটতে পারেন এবং ছবি, ভিডিও করতেও পারেন। এখানে অ্যানাকোন্ডা (anaconda) নিয়েও সাঁতার কেটে ভিডিও করতে পারেন ডুবুরিরা।
বিখ্যাত ভিডিওগ্রাফার এবং ডুবুরি বার্টোলোমিউ বোভ (Bartolomeo Bove) তাঁর স্পেশাল এবং দুঃসাহসিক কাজের জন্য এই নদীটিকেও বেছে নিয়েছিলেন। আর এই নদীতেই প্রায় ১০০ কেজি ওজনের এবং ২৩ ফুট লম্বা সবুজ অ্যানাকোন্ডার (Green anaconda) মুখোমুখি হন বার্টোলোমিউ বোভ (Bartolomeo Bove)। সেখানে তাঁর ক্যামেরার লেন্স চাটতে দেখ যায় সেই সবুজ অ্যানাকোন্ডাকে (Green anaconda)। সম্প্রতি এই দৃশ্যের ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়।