সম্প্রতি পাওয়া বড় খবর, মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিকরা ১৮০০ বছরের পুরোনো রোমান সাম্রাজ্যের আবাসিক শহর আবিষ্কার করেছেন। এই বড় আবিষ্কারটি মিশরের লুক্সর শহরে করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই শহরটি দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতাব্দীর। মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক কাউন্সিলের প্রধান মুস্তফা ওয়াজিরি জানিয়েছেন যে, ‘দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতাব্দীতে এখানে মানুষ বসবাস করত। শহরে অনেক আবাসিক ভবন নিরাপদ অবস্থায় পাওয়া গেছে। এখানে মানুষ কবুতরের জন্য উঁচু বাড়িও তৈরি করেছিল’।
গবেষকরা এটিকে ‘লুক্সরের পূর্ব তীরে পাওয়া প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বর্ণনা করেছেন’। গবেষকরা শহরের বেশ কিছু স্থানও আবিষ্কার করেছেন যেখান থেকে বাসনপত্র, হাতিয়ার এবং ব্রোঞ্জের মুদ্রা পাওয়া গেছে। তারা এই আবিষ্কারকে বিরল আবিষ্কার বলে বর্ণনা করেছেন। গবেষকরা লুক্সরের নীল নদের পশ্চিম তীরে খনন শুরু করেছিলেন যার পরে তারা এই শহরটিকে খুঁজে পেয়েছিলেন।
নীল নদের এই এলাকাটি প্রাচীন মন্দির ও সমাধি, রাণীর উপত্যকা, রাজাদের উপত্যকা ইত্যাদি পর্যটন স্থানের জন্য বিখ্যাত। মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকরা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক বড় আবিষ্কার করেছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে, তারা লুক্সরের পশ্চিম উপকূলে একটি ৩০০০ বছরের পুরনো হারিয়ে যাওয়া সোনার শহর আবিষ্কার করেছিলেন। এই শহরটিকে মিশরে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন শহর বলে মনে করা হয়।
বর্তমানে মিশরীয় সরকার প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ওপর ক্রমশ্য জোর দিচ্ছে। করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মিশরের পর্যটনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে মিশরে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায়। মহামারীর প্রাদুর্ভাব শেষ হতে শুরু করলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
الكشف عن أول مدينة سكنية كاملة بشرق الأقصر .
The discovery of the first complete residential city in eastern Luxor.#Egypte #Tweets #Luxor #tourism #Archaeology #heritage #StayTuned #explore #مصر pic.twitter.com/gzldbWtcPM— Dr Mostafa waziry (@mostafa_waziri) January 24, 2023
এটি মিশরের পর্যটন শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি করেছে, কারণ মিশরে বেশিরভাগ পর্যটক ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে আসে। মিশরীয় সরকার প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে। মিশরীয় সরকারও এসব আবিষ্কারের মাধ্যমে তার বৈশ্বিক ভাবমূর্তি উন্নত করছে।